ঘরেই হবে সর্পদংশনের চিকিৎসা, বিষ কাটানোর ক্যাপসুল তৈরি করলেন বৈজ্ঞানিকরা

Published:

Snake bite treatment now available at home! Medicine developed
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সাপের কামড়ে আর মৃত্যু হবে না কারোরই! বিরাট আবিষ্কার করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা। সূত্রের খবর, এবার থেকে ঘরোয়া চিকিৎসার (Snake Bite Treatment) মাধ্যমে সাপের বিষ বের করা যাবে! তবে প্রয়োজন পড়বে একটি ছোট্ট ওষুধের। কী সেটি? কীভাবেই বা বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা যাবে আক্রান্তের? পথ বাতলে দিয়েছে কেনিয়ার একটি আবিষ্কার।

আদৌ ঘরোয়া চিকিৎসা সম্ভব?

ভারতে প্রতিবছর কমপক্ষে 1 লক্ষ 40 হাজারেরও বেশি মানুষ বিষাক্ত সাপের কামড়ে মারা যান। তবে এই মৃত্যুর বেশিরভাগই চিকিৎসার অভাবে ঘটে। এবার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই বড় আবিষ্কার করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা। ভারতে কোনও ব্যক্তিকে সাপে কামড়ালে সাধারণত অ্যান্টিভেনাম ব্যবহার করা হয়। মূলত ইনজেকশন হিসেবে আক্রান্তের শরীরে ইঞ্জেক্ট করে দেওয়া হয় ওই বিষ নিষ্ক্রিয়কারী ওষুধটি।

তবে এবার থেকে এসব আর করতে হবে না! সাপে কামড়ালে একেবারে ঘরে বসেই করা যাবে চিকিৎসা! কীভাবে? সম্প্রতি প্রকাশিত ই-বায়োমেডিসিনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনিটিওল নামক ওষুধ দিয়ে সাপের বিষ নির্মূল করা সম্ভব। গবেষকরা বলছেন, যে সাপের বিষে মূলত মেটালোপ্রোটিনেজ এনজাইম রয়েছে, যা মূলত কোষের জন্য ক্ষতিকারক। এই এনজাইম নষ্ট করতে প্রয়োজন হয় জিঙ্ক। বিজ্ঞানীদের দাবি, ইউনিটিওল নামক ওই ওষুধটি শরীরে জিঙ্কের মাত্রা বাড়ায় যার দরুণ দ্রুত রোধ করা যায় বিষক্রিয়া।

ওষুধটির ব্যবহার

বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, সাপের বিষক্রিয়া রোধকারী ইউনিটিওল ওষুধটি মূলত জলের সাথে মিশিয়ে বা আলাদাভাবে জল দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি খুব সম্ভবত ক্যাপসুল আকারে বাজারে আসতে পারে। জানা গিয়েছে, ওষুধটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরে জিঙ্ক তৈরির পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে সাপের বিষ রক্তের সাথে মিশে যাওয়ার আগেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

অবশ্যই পড়ুন: চুপিসারে পাকিস্তানের সাথে অন্য গেম খেলছিল শ্রীলঙ্কা, জানতেই পাল্টা খেলে দিল ভারত

পরীক্ষায় সফল ইউনিটিওল

বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সাপের বিষ নিবারণকারী এই ইউনিটিওল ওষুধটি কেনিয়ার গবেষকরা 64 জন আক্রান্তের ওপর ব্যবহার করেছেন। ফলস্বরূপ, সাপের কামড়ের পর ওই 64 জন ব্যক্তিই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ওষুধটি ব্যবহারের পর তাঁদের শরীরে সাপের বিষ বিন্দুমাত্র পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ওষুধটি কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই খাওয়া যায়।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join