ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ কলকাতায় আরজি কর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় উত্তাল সমগ্র দেশ। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে মহা বিপদে পড়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। এক কথায় সৌরভের মন্তব্য নিয়ে সমগ্র বাংলাজুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। তবে এবার তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে দাবি জানালেন সৌরভ।
আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল দেশ
এমনিতে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে অন ডিউটি খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। দেশের বিভিন্ন অংশে প্রতিবাদ হচ্ছে। এহেন ঘটনায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসক, আইনজীবী, সেলেব সকলেই সরব হয়েছেন। ভারত স্বাধীনতার ৭৮ বছর উদযাপন করার পরেও তাদের নিজের দেশে সুরক্ষা ইস্যুতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মহিলারা বলে অভিযোগ। এদিকে আরজি কর কাণ্ডে দোষীর চরমতম শাস্তির দাবি জানিয়েও সকলের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে ‘দাদাগিরি’ খ্যাত সৌরভকে।
কী বলেছিলেন সৌরভ?
সৌরভ সেদিন বলেছিলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, ন্যক্কারজনকও বটে। এমন অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। এই ঘটনায় প্রশাসনের অবিলম্বে পদক্ষেপ উচিত। আসলে এই ধরণের ঘটনা যে কোনও জায়গায় হতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে ঘটনাটা ঘটল হাসপাতালে। সিসিটিভির ব্যবস্থা থাকা উচিৎ, একইসঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার থাকা উচিত। একটা ঘটনার উপর ভিত্তি করে পুরো সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা করাটা ঠিক নয়। বাংলায় মেয়েদের নিরাপত্তা আছে। এমনকী গোটা ভারতেও মেয়েদের নিরাপত্তা রয়েছে। এই ধরণের জঘন্য অপরাধ পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় হতে পারে। তবে এই ঘটনা কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হবে।’ এরপর থেকেই ট্রোল হতে শুরু করেন সৌরভ।
সাফাই দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার
এরপরেই সাফাই দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত করছে। এটা লজ্জাজনক ঘটনা। আশা করব সিবিআই তদন্ত করে দোষীদের কঠোর সাজা দেবে। মানুষ যাতে এসব করার ভাবনা চিন্তা না করে। বেদনাদায়ক ঘটনা। সারা বিশ্বে প্রতিবাদ হচ্ছে। চিকিৎসকদের কাজে ফেরা উচিৎ। অনেক মানুষের চিকিৎসা লাগে। এই বিষয়ে তাঁরা ভাবনা চিন্তা করুন। গত রবিবার আমি এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলাম। আমি জানি না আমার বক্তব্যের কী ব্যাখ্যা হয়েছে। আবারও বলছি এই ঘটনা ভয়ঙ্কর। দোষীদের এমন শাস্তি হোক যাতে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে। তদন্ত চলছে, আশা করব দোষীকে চিহ্নিত করে শাস্তি হবে। যেভাবে মানুষ প্রতিবাদ করছেন এ ঘটনা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে হলে এভাবেই মানুষ গর্জে উঠতেন।’