IPS হলেন দশম পাস যুবক, থানায় উর্দি পরে যেতেই ঘটল লঙ্কা কাণ্ড, কাহিনী জেনে হেসে পাগল হবেন

Published on:

mithilesh fake ips

দেবপ্রসাদ মুখার্জী: দেশের সর্বোচ্চ অ্যাডমিনস্ট্রেটিভ পদে চাকরি পাওয়ার জন্য UPSC পরীক্ষা দিয়ে সেটির বিভিন্ন ধাপ পাশ করতে হয়। তারপর নির্দিষ্ট পদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের ট্রেনিং সম্পূর্ণ হলেই নিয়োগ পাওয়া যায়। UPSC পরীক্ষা দিয়ে IAS, IPS, IFS, IRS ইত্যাদি পদে চাকরি পাওয়া যায়। সেই জন্য এটি দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা হয়। তাই অনেকের UPSC পাশের লড়াইয়ের গল্প শুনে আমরা অনুপ্রাণিত হই। তবে আজ আপনাদের এমন একজনের কথা বলবো, যিনি টাকা দিয়ে IPS হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্থান হয়েছে শ্রীঘরে।

WhatsApp Community Join Now

এই গল্পটা বিহারের জামুই জেলার ১৯ বছর বয়সী যুবক মিথিলেশের। তিনি IPS অফিসার হতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। চাকরির আশায় তিনি ২ লাখ টাকা দিয়ে এক ব্যক্তির কাছে প্রতারণার শিকার হন। মনোজ সিং নামে পরিচিত ওই ব্যক্তি মিথিলেশকে একটি ভুয়ো IPS-এর পরিচয়পত্র, ব্যাজ এবং নকল পিস্তল দিয়ে তাকে IPS অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার ভুয়ো স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা করে। শেষমেষ ভুয়ো IPS অফিসারকে পাকড়াও করে পুলিশ গোটা ঘটনাটি জানতে পারে।

টাকা দিয়ে IPS হতে গিয়ে প্রতারণার শিকার মিথিলেশ

মিথিলেশ দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তবে পড়াশোনা না করলেও জীবনে সফল হওয়ার স্বপ্ন তিনিও দেখতেন। কিন্তু গ্রামের সাধারণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা মিথিলেশ খুব বেশি শিক্ষিত না হওয়ায় তাঁর পক্ষে জীবনে উন্নতি করা বা ভালো চাকরি পাওয়া সহজ ছিল না। সেই কারণে টাকা দিয়ে সহজ উপায়ে ভালো চাকরি খুঁজছিল সে। আর মিথিলিশের এমন অবস্থার সুযোগ নিয়ে, মনোজ সিং তাকে IPS পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে মিথিলেশ তাঁর মামার থেকে ২ লাখ টাকা ধার নিয়ে মনোজকে টাকা দেন। বিনিময়ে, মনোজ তাকে একটি পুলিশের ইউনিফর্ম, ব্যাজ ও নকল পিস্তল দিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সে মিথিলেশকে বলে যে, তার পোস্টিং লখিসারাই জেলার হালসি থানায় হয়েছে।

চাকরি পাওয়ার আনন্দ বদলে গেল হতাশায়

ভুয়ো ইউনিফর্ম এবং পিস্তল নিয়ে মিথিলেশ আনন্দিত হয়ে বাড়ি ফেরেন এবং তার মায়ের আশীর্বাদ নেন। মিথিলিশের মায়ের মনে হয়, ছেলে সত্যিই IPS অফিসার হয়েছে। পরিবারের সকলেই তাকে গর্বের চোখে দেখে। কিন্তু, পরের দিন মনোজ সিং নামের প্রতারককে আরও ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য দফতরে যাওয়ার পথে পুলিশ মিথিলেশকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জেরার মুখে, পুরো প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ পায়। মিথিলেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বোঝা যায়, তিনি মনোজের কথার ফাঁদে পড়ে সম্পূর্ণ প্রতারিত হয়েছেন।

প্রতারক মনোজের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ

পুলিশ পরে মিথিলেশকে ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেয় এবং মনোজ সিংয়ের খোঁজ শুরু করে। একইসঙ্গে মিথিলেশের কাছ থেকে ভুয়ো IPS-এর পরিচয়পত্র, ব্যাজ ও ইউনিফর্ম বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই ঘটনার পর মিথিলেশের পরিবার এবং গ্রামবাসীরা রীতিমতো হতবাক হয়ে পড়েছেন। মিথিলেশের মা বললেন, “বাড়িতে যখন ওঁকে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় দেখেছিলাম, তখন খুব গর্ব অনুভব করেছিলাম, কিন্তু যখন জানলাম এটা সবই মিথ্যা ছিল, তখন মনে ভীষণ কষ্ট পেয়েছি।”

সঙ্গে থাকুন ➥
X