সাদা সোনা উৎপাদন করেই নাম কামাচ্ছে এই দেশগুলি! দেখুন তালিকা

Published:

White Gold
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সোনার রং কী, তা জানতে চাইলে প্রত্যেকেই চোখ বন্ধ করেই বলবে হলুদ! তবে আপনি কি জানেন, পৃথিবীর এমন কিছু দেশ রয়েছে যারা সাদা সোনা (White Gold) উৎপাদন করছে? এমনকি হাজার হাজার টন! হ্যাঁ, টেকসই পরিশোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তারা বানিয়ে ফেলছে এই সংকর ধাতু, যা বিশ্ব্যাপী গয়না শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন তালিকায় কোন কোন দেশ রয়েছে আর কীভাবে এই সাদা সোনা উৎপাদন করা হয়? জানতে হলে অবশ্যই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কী এই সাদা সোনা?

প্রথমেই জেনে রাখা ভালো, সাদা সোনা মূলত খাঁটি সোনার সাথে প্যালেডিয়াম, নিকেল এবং রুপোর মতো কিছু ধাতু মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এক কথায় একটি সংকর ধাতু। কিন্তু দেখতে সাদা হলেও একেবারে জ্বলজ্বল করে। আর এই গয়নার জনপ্রিয়তার মূল কারণ হল এটি প্লাটিনামের মতো দেখতে, কিন্তু আরও সাশ্রয়ী ও টেকসই। কিন্তু বিশ্বের কোন কোন দেশ এই সাদা সোনা উৎপাদনে শীর্ষস্থানে রয়েছে? জানতে চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনটিতে।

চিন

রিপোর্ট বলছে, ২০২৫ সালে ৩৮০ মেট্রিক টনের কাছাকাছি সাদা সোনা উৎপাদন করেছে জিনপিং-এর দেশ। শানডং এবং ইনার মঙ্গোলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিগুলি এই সাদা সোনা পরিশোধনে বিরাট ভূমিকা রাখে। আর এরা মূলত বিশ্বব্যাপী গয়না শিল্পে ব্যবহারের জন্য এই সাদা সোনা উৎপাদন করে।

রাশিয়া

ভারতের বন্ধু রাষ্ট্রও বছরে প্রায় ৩২০ মেট্রিক টন সাদা সোনা উৎপাদন করে থাকে। রাশিয়ান শোধনাগারগুলি সোনার সাথে প্যালেডিয়াম এবং অন্যান্য কিছু ধাতুর মিশ্রণেই এই শক্তিশালী সাদা সোনার সংকর ধাতু তৈরি করে। সাইবেরিয়ার খনি থেকেই মূলত এর বেশিরভাগ সরবরাহ হয়, যা রাশিয়াকে ধাতু খাতে আরও টাকা শক্তিশালী করে রেখেছে।

অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া প্রতিবছর প্রায় ৩১০ মেট্রিক টন সোনা খনন করে থাকে। আর এরা টেকসই খনি পদ্ধতির জন্যই পরিচিত। পাশাপাশি এরা উচ্চ মানের সাদা সোনা তৈরিতে উন্নত পরিশোধন প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। আর স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার সাদা সোনার চাহিদা অনেকটাই বেশি।

কানাডা

অস্ট্রেলিয়ার পরেই রয়েছে কানাডা। কারণ, তারা বছরে প্রায় ২০০ মেট্রিক টন সাদা সোনা উৎপাদন করে। বিশেষ করে প্রিমিয়াম সোনার বিশুদ্ধতার উপর এরা বেশি জোর দিয়ে থাকে। আর কানাডিয়ান উৎপাদকরা বিলাসবহুল গয়না তৈরির কারখানায় ব্যবহৃত সাদা সোনা উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বছরে প্রায় ১৭০ মেট্রিক টন খনি খনন করে থাকে। প্যালেডিয়াম অ্যালয় ব্যবহার করে তারা হাইপোঅ্যালার্জেনিক সাদা সোনা তৈরি করে। মূলত মার্কিন শোধনাগার এই তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে। এর ফলে সাদা সোনার গয়নার বাজারকেও আরও ত্বরান্বিত করে তোলে তারা।

পেরু

রিপোর্ট অনুযায়ী, পেরু বছরে প্রায় ১৩০ মেট্রিক টন সোনা উৎপাদন করে থাকে। আধুনিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের ফলে এরা খনিজ সম্পদ এবং পরিশোধনের মান আরও উন্নত করেছে। এর ফলে পেরু রপ্তানির জন্যও সাদা সোনার উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।

মেক্সিকো

জানা যাচ্ছে, মেক্সিকো বছরে প্রায় ১২৫ মেট্রিক টন খনি খনন করে থাকে। আর এদের পরিশোধনগারে মূলত দেশীয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। রপ্তানি বাজার থেকে শুরু করে দেশীয় চাহিদা, উভয়ের জন্যই এরা সাদা সোনা উৎপাদন করে থাকে। ফলে গয়না শিল্পে বিরাট অবদান রাখে তারা।

উজবেকিস্তান

জানা যাচ্ছে, উজবেকিস্তান বছরে প্রায় ১২০ মেট্রিক টন সাদা সোনা উৎপাদন করে থাকে। আর এদের বেশিরভাগই মুরুন্টাউয়ের মতো খনি থেকে উৎপাদিত হয়। খনির অবকাঠামোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এরা বিশ্বব্যাপী সাদা সোনার বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে।

আরও পড়ুনঃ এখনই নয় অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ! কবে চালু? দিনক্ষণ জানাল কমিশন

দক্ষিণ আফ্রিকা

রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকা বছরে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন সাদা সোনা উৎপাদন করে থাকে। খনিজ সমৃদ্ধ ইতিহাসের কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকা সোনাকে আরও পরিশোধিত করে সংকর ধাতুতে পরিণত করে। আর এদের ব্র্যান্ড মূলত বিশ্বব্যাপী গয়না খাতে বিরাট অবদান রাখে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join