সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এখনকার দিনে দাঁড়িয়ে যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, সবথেকে দামি জিনিসের (Most Valuable Item) নাম কী? তাহলে অনেকেই উত্তর দেবে – সোনা-রুপো নিশ্চয়! এমনকি কেউ কেউ প্লাটিনাম বা হীরের কথাও বলতে পারে। তবে বাস্তব বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা! হ্যাঁ, আগামী দিনে সবথেকে দামি বস্তু হবে শক্তি বা এনার্জি! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! কিন্তু কীভাবে? চলুন জানিয়ে দিচ্ছি।
টাকা নয়, বরং বিদ্যুতই হবে আসল হাতিয়ার
সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় জেরোধার সহ প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাত বলেছেন, পরবর্তী পাঁচ থেকে দশ বছরে ইলেকট্রন এবং শক্তি আমাদের সবথেকে বড় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াবে। তার এই বক্তব্য যেন ভবিষ্যতের জন্য নয়া দরজা খুলে দিচ্ছে। কারণ, শক্তি ছাড়া কোনো কিছুই কল্পনা করা যায় না। আর দিনের পর দিন যে হারে শক্তির ব্যবহার বাড়ছে, তার সাথে এই দাবি সত্যিই বাস্তবসম্মত।
বলে রাখি, কামাতের এই বক্তব্যের নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটাই কারণ। আর তা হলো – ডেটা সেন্টার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। দৈনন্দিন জীবনে এখন কোনো লেখালেখি, গুগল সার্চ করা বা WhatsApp বা Google Drive ব্যবহার, সবকিছুর পেছনেই থাকে এখন এই ডেটা সেন্টার।
তবে আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন, একটি নতুন ডেটা সেন্টার প্রতি বছর 4 লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ির মোট বিদ্যুৎ খরচের থেকেও বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। হ্যাঁ, দিনের পর দিন যত ডেটা সেন্টার বাড়ছে, তত বিদ্যুতের খরচ বাড়ছে। আর 2030 সালের মধ্যে বিশ্বে ব্যবহৃত মোট বিদ্যুতের 10% খরচ হবে এই ডেটা সেন্টারগুলিতে। হ্যাঁ, এমনই দাবি করছে বেশ কিছু রিপোর্ট।
বিদ্যুতের চাহিদাকে বাড়িয়ে তুলছে AI
বিজ্ঞানীরা বলছে, ইন্টারনেট সার্চের মাত্রা যদি 5% AI ভিত্তিক হয়, তাহলে যে পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হবে, তা 10 লক্ষ ভারতীয় গাড়ি এক বছর চালানোর জন্য যথেষ্ট। Open AI-র সিইও সম্প্রতি বলেছিলেন, Please বা Thank You বলার মত শব্দ AI-কে শেখাতে লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করতে হয়।
তাহলে একবার কল্পনা করুন তো, ভবিষ্যতের একটি সুপার মার্কেটে যদি আপনার ডলারের বদলে কিলোওয়াট ঘন্টা দিয়ে পণ্য কিনতে বলে, তাহলে কেমন হবে? হ্যাঁ, হতেই পারে এমনটা। কারণ, ব্লক চেইনভিত্তিক এনার্জি টোকেন যখন চালু হবে, তা দিয়ে আপনি শক্তি লেনদেন করতে পারবেন। যেমন এখন ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে হয়।
আরও পড়ুনঃ ফিচার্স, লুকে নজরকাড়া! বাজার কাঁপাতে আসছে মধ্যবিত্তর বাজেটে মাহিন্দ্রা বোলেরোর নয়া মডেল
ভারতের অবস্থান কোথায়?
বলে রাখি, বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে ডেটা সেন্টারের সংখ্যায় ভারত এখনো সপ্তম স্থানে রয়েছে। ভারতের কাছে মোট 262টি ডেটা সেন্টার রয়েছে। তবে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে। আর AI প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতি তৈরিতে ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ নীতি ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটার দিকেই তাকিয়ে আছে এখন আপামর জনগণ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |