সোনার সন্ধানে শুরু হয়েছিল খোঁড়াখুঁড়ি, কিন্তু যা বেরোলো তা দেখে সকলের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। সকলের মুখে তখন একটাই কথা, এ যে আস্ত সভ্যতা! গুজরাটের কচ্ছ জেলার ধোলাভিরা এলাকায় সোনা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পান অনেকে। সেই খবর অনুযায়ী, খোঁড়াখুঁড়ি অবধি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এই খোঁড়াখুঁড়ির পর যে জিনিসটা বের হয় তা দেখে সকলেরই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। ধোলাভিরা থেকে ৫০ কিমি দূরে লোন্দ্রানী গ্রামের বাসিন্দারা মাটির নিচে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন সোনার আশায়। কিন্তু সোনা বেরোয় না, তার বদলে বেরিয়ে আসে অসৎ সভ্যতা, তাও কিনা আবার হরপ্পা যুগের। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন একদম।
আরো জানা যায়, গ্রামবাসীরা হরপ্পা যুগের সভ্যতার একটি সুরক্ষিত বসতি এবং সেই সময়ে ব্যবহৃত কিছু বাসনপত্রের সন্ধান পেয়েছে। কৃষক নাথু ভাই মাকওয়ানা ধোলাভিরা হরপ্পা সভ্যতার পুরনো পথপ্রদর্শক এবং তাঁর আত্মীয় জেমাল মাকওয়ানা এই বিষয়ে অবহিত করেন। যারা খোঁড়াখুঁড়ি করছিলেন সেই দলের মধ্যে ছিলেন জেমাল। এই ধ্বংসাবশেষ দেখে তিনিও খুব অবাক হয়েছিলেন । অবাক হওয়ারই মতো ঘটনা ঘটেছে গুজরাটে। অবিকল হরপ্পা সভ্যতার মতো দেখতে এক সভ্যতার সাক্ষী থাকলেন সকলে।
জেমলভাই মাকওয়ানা তৎক্ষণাৎ এএসআইয়ের প্রাক্তন এডিজি তথা অক্সফোর্ড স্কুল অফ আর্কিওলজির রিসার্চ স্কলার অজয় যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রত্নতাত্ত্বিক অজয় যাদব এবং তাঁর সাথে অক্সফোর্ডের স্কুল অফ আর্কিওলজির অধ্যাপক ড্যামিয়ান রবিনসন গুজরাটের কচ্ছ পৌঁছে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি ঘুরে দেখেন। এহেন ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র।