প্রীতি পোদ্দার, চন্দ্রকোণা: গতকাল ছিল কালীপুজো। আলোর উৎসবে মেতে উঠেছে রাজ্যবাসী। প্রদীপ জ্বালানো থেকে শুরু করে বাজি ফাটানো সবটাই চলছে দেদার। সঙ্গে প্যান্ডেল হপিং তো মাস্ট। কিন্তু প্যান্ডেল হপিং করতে গিয়ে বড় চমক দেখল বঙ্গবাসী। অসুরের পরিবর্তে দেখা গেল সন্দীপ ঘোষকে।
অসুরের পরিবর্তে সন্দীপ ঘোষের মুখ!
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার চন্দ্রকোণা রোডে রেনেসাঁস পুজো কমিটির উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে কালীপুজো। আর এই বছর পুজোর থিম ছিল “জাস্টিস ফর আরজি কর”। তাই সেখানে মণ্ডপটি আরজি কর হাসপাতালের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। আবার সেই মণ্ডপের গায়ে টানানো হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালের বোর্ড। যা নজর কেড়েছিল সকল দর্শনার্থীদের। তবে শুধু মণ্ডপ এর সাজসজ্জা নয়, নজর কেড়েছিল মায়ের প্রতিমার গঠনও। কারণ মায়ের মূর্তির সঙ্গে সেখানে রাখা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের মূর্তি। অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
মূর্তি দর্শনে ভিড় জমিয়েছে একাধিক মানুষ!
দেখা গিয়েছে মণ্ডপের ভিতর মা কালী রণমূর্তি ধারণ করে রয়েছে। আর হাতে অসুরের মুণ্ডুর পরিবর্তে রয়েছে সন্দীপ ঘোষের চুলের মুঠি। আর মায়ের আশেপাশে ডাক্তার নার্সদের মূর্তি রাখা রয়েছে। আরজি কর আন্দোলনের আবহে কালী পুজোয় এই ধরনের থিমভাবনা সত্যিই এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। দেখতেও আসছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষজন। তবে এই ধরনের গঠন দেখা গিয়েছিল চলতি বছর দুর্গাপুজোর সময়। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে একটি পুজো মণ্ডপে অবিকল সন্দীপ ঘোষের মুখের অবয়ব দেখা গিয়েছিল অসুরের মুখে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েগিয়েছিল সেই পুজো মণ্ডপটি। এমনকি হাজার হাজার লোক দেখতে গিয়েছিল সেই মূর্তি।
যদিও বহরমপুরের যে স্বর্গধাম সেবক সংঘ পুজো কমিটির পুজোয় সেই ‘অসুর’ তৈরি করা হয়ছে, সেখানকার শিল্পী অসীম পাল দাবি করেছেন যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে মাথায় রেখে অসুরের মূর্তি তৈরি করেননি। কেউ যদি তাঁর বানানো অসুরের সঙ্গে সন্দীপের মুখের মিল খুঁজে পান, তাহলে সেটা নেহাতই কাকতলীয়। পুজো উদ্যোক্তাদের কথায় আরজি করের এই আন্দোলন এখন রাজ্য দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর সন্দীপ ঘোষের এর পেছনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত রয়েছে, তা এখন সকলের কাছে জানা।