সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে নতুন হারে জিএসটি (GST)। আর এর জেরে ৫%, ১২%, ১৮% ও ২৮% এই চারটি স্ল্যাব একত্রিত হয়ে শুধুমাত্র ৫% ও ১৮% হারে জিএসটি ধার্য করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বহু পণ্যের দাম কমার কথা। তবে প্রশ্ন উঠছে, যদি কোনও দোকানদার ২২ সেপ্টেম্বরের পরেও দাম না কমায় বা পুরনো দামে জিনিস বিক্রি করে, তাহলে কি করবেন? সরকারের নিয়ম বলছে, ক্রেতাদের হাতে অভিযোগ করার স্পষ্ট সুযোগ রয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে অভিযোগ করবেন।
কোথায় অভিযোগ করবেন?
কেন্দ্রীয় সরকার এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য চারটি রাস্তা বাতলে দিয়েছে। সেগুলি হল—
জাতীয় গ্রাহক হেল্পলাইন- কেন্দ্র সরকার সরাসরি গ্রাহকদের জন্য টোল ফ্রি নম্বর চালু করে রেখেছে। হ্যাঁ, ১৮০০-১১-৪০০০ অথবা ১৯১৫ নম্বরে ফোন করে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও পরিষেবা পাবেন। তার জন্য ৮৮০০০১৯১৫ নম্বরে শুধু মেসেজ পাঠাতে হবে।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে- দ্বিতীয়ত, জাতীয় গ্রাহক হেল্পলাইনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (https://consumerhelpline.gov.in/public/) গিয়ে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রথমে গিয়ে সাইন আপ করতে হবে ও লগইন করতে হবে। এরপর কী ধরনের অভিযোগ করবেন তা বেছে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। এরপর অভিযোগ জমা দেওয়ার পর একটি টোকেন নম্বর পাবেন, যার মাধ্যমে পরে অভিযোগের স্ট্যাটাস ট্র্যাক করতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে- তৃতীয়ত, কেন্দ্রীয় সরকার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও অভিযোগ জানানোর উপায় রেখে দিয়েছে। এর জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে NCH অ্যাপটিকে ডাউনলোড করতে হবে। এর পাশাপাশি UMANG অ্যাপে গিয়েও অভিযোগ করতে পারবেন। শুধু অ্যাপ খুলে Consumer Complaints অপশনটিকে সিলেক্ট করলেই অভিযোগ জানানো যাবে।
গ্রাহক ফোরামে অভিযোগ- NCH-এর কাছে অভিযোগ করার পর সেটি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা দোকানদারের কাছে সাধারণত পাঠানো হয়। আর যদি সেখান থেকে কোনও উত্তর বা সমাধান না মেলে, তাহলে গ্রাহকরা সরাসরি গ্রাহক ফোরামে মামলা দায়ের করতে পারে। আর এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সেই শহর নয়, বরং যেকোনও জেলা বা রাজ্যের গ্রাহক ফোরামে অভিযোগ দায়ের করা যায়। এতে দোকানদার বা কোম্পানি, উভয়কেই জবাবদিহি করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ দুর্যোগের জেরে আজ থেকেই স্কুল-কলেজে পুজোর ছুটি ঘোষণা মমতার
মোদ্দা কথা, জিএসটি কমানোর মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। তবে তার উপরেও যদি দোকানদাররা সেই চড়া দামে বা পুরনো রেটে জিনিসপত্র বিক্রি করে, তাহলে অভিযোগ না জানানো ছাড়া আর কোনও রাস্তা থাকে না।