বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ধূমপান যে প্রাণঘাতী ক্যান্সারের কারণ তা এখন সর্বজনবিদিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও সিগারেট, বিড়ির প্রতি আসক্তি কমছে কই? ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশ পাবলিক প্লেসে ধূমপানের ক্ষেত্রে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। আদতে জনবহুল এলাকায় বা খোলা আকাশের নিচে ধূমপান করা কার্যত নিষিদ্ধ।
ধূমপানের মাধ্যমে নিজের ক্ষতির পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী লোকজনের স্বাস্থ্যহানিরও কারণ হয়ে ওঠেন তামাকজাত দ্রব্য সেবনকারী ব্যক্তি। তবে শুধু ভূমিতেই নয়, আকাশের ওড়ার সময়ও করা যায় না ধূমপান। হ্যাঁ, ট্রেনের পাশাপাশি বিমানেও ধূমপান একেবারে নিষিদ্ধ।
কিন্তু সবচেয়ে অবাক করার বিষয়! ফ্লাইটে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ হলেও প্লেনের বাথরুমে রাখা থাকে অ্যাশট্রে (Ashtray)! এর নেপথ্যে কোন কারণ? ফ্লাইটে ধূমপানের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন বাথরুমে রাখা হয় সিগারেটের ছাই ধারণের পাত্র? এর নেপথ্যে কি কোনও গোপন রহস্য?
কেন বিমানের বাথরুমে রাখা থাকে অ্যাশট্রে?
ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু বিমান সংস্থা 1980 সাল থেকেই বিমানে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার নিয়ম চালু করেছে। সেই নিয়ম মেনেই, ফ্লাইটে উঠে কার্যত ভুলে যেতে হয় সিগারেট, বিড়ির কথা। তবে নিয়ম জারি করার পাশাপাশি চালু রয়েছে জরিমানার আইনও।
জানিয়ে রাখি, বিমানে ভুলবশত বা শখের বসে যদি কেউ ধূমপান করেন সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার। মূলত প্যাসেঞ্জার ও বিমানের সুরক্ষার কথা ভেবেই ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার নিয়ম চালু রয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: ৬০ বছর বয়স হলে প্রতি মাসে মিলবে ৩০০০ টাকা পেনশন! কারা, কীভাবে পাবে দেখুন
তবে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন ঘেঁটে জানা গেল, এমন অনেকেই রয়েছেন ধূমপানের প্রতি যাঁদের আসক্তি একেবারে উচ্চমাত্রার। ফলত, কড়া নিয়মের মাঝেও যদি কেউ ফ্লাইটে নিজের সিটে বসে ধূমপান করেন সেক্ষেত্রে বড়সড় দুর্ঘটনা করতে পারে। কাজেই যাত্রীরা যাতে বিমানের সিটে বসে কিংবা যত্রতত্র ধূমপান না করেন মূলত সেজন্যই দুর্ঘটনা এড়াতে ফ্লাইটের ওয়াশরুমে এই বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয় বলেই খবর।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |