প্রীতি পোদ্দার, দিল্লি: ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের ধারায় সান্তিয়াগো মার্টিন ও তাঁর সংস্থা ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED অথবা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অভিযোগ উঠেছিল যে সান্তিয়াগো মার্টিন ও তাঁর সংস্থা টিকিট বিক্রি করে লটারির প্রকৃত নম্বর গোপন রেখে অন্য সিরিয়াল নম্বর দিয়ে প্রভাবশালীদের টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছিল। যার ফলে কোটি কোটি টাকা কারচুপি হয়। আর তারই তদন্তে নেমে উঠে এল বিস্ফারিত তথ্য।
১২.৪৭ কোটি টাকা উদ্ধার করল ED
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, ‘লটারি কিং’ নামে খ্যাত সান্তিয়াগো মার্টিনের দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মেঘালয় এবং পঞ্জাবে অভিযান চালিয়েছিল ED। আর সেই অভিযানে এখনও পর্যন্ত ১২.৪৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় এছাড়াও ৬.৪২ কোটি টাকা মূল্যের ফিক্সড ডিপোজিটও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে। তবে এই ৬ টি রাজ্যের মোট ২২ টি জায়গায় অভিযান চালিয়েও কোন রাজ্য থেকে ঠিক কত পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো তথ্য মেলেনি।
লটারি দুর্নীতি মামলায় জড়িত তৃণমূল?
আর এই তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিত রিপোর্ট। প্রকাশিত এসবিআই-এর নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে ২০১৯ সাল থেকে রাজনৈতিক দলগুলিকে সবথেকে বেশি অনুদান দিয়েছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। এবং সেই অনুদান ছিল প্রায় ১৩৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৫৪০ কোটি এবং ডিএমকে পেয়েছিল ৫০৯ কোটি টাকা।
এদিকে গত ১৪ নভেম্বর লেক মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। জানা গিয়েছিল, সেখানে নাকি বিপুল পরিমাণ নগদ মিলেছে। এই আবহে টাকা গোনার জন্যে ব্যাঙ্ক থেকে মেশিনও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে। সেই অভিযানেই নাকি অন্তত পক্ষে ৩ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এছাড়াও এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেটের কাছে একটি লটারির অফিসে হানা দিয়েছিল ইডি। সব মিলিয়ে, দেশ জুড়ে নাকি এই অভিযানে মোট ১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।