প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, ওয়াকফ সংশোধিত আইন বাতিলের দাবিতে ফের দুপুর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এলাকা (Murshidabad Waqf Violence)। ধীরে ধীরে সেই বিক্ষোভ অশান্তি চরমে পৌঁছয়। স্থানীয় জনতার ক্ষোভের মূখে পরে পুলিশ প্রশাসন। শাজুরমোড় ও ধুলিয়ান সংলগ্ন এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো, সাধারণ যানবাহন ও বাইক ভাঙচুর ইত্যাদি একাধিক ঘটনায় অশান্তি ছড়িয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে, এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে।
আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল বেসরকারি হাসপাতালে
এদিকে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি রাজ্যের আবেদনে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে বিএসএফও। তাতে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। এমনকি আজ সকালেও অবস্থা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু বেলা বাড়তেই ফের পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান। জানা গিয়েছে সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের দাদা কাওসার আলির বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালায়। শুধু তাই নয় এই অশান্তির তাণ্ডব পোহাতে হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালকেও। সেখানে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। শেষে পরিস্থিতি সামলাতে বাধ্য হয়ে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে। যার ফলে আহত হয়েছেন ২ জন। জখম হন ফারাক্কার এসডিপিও।
গুলিবিদ্ধ সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্র
এদিকে গতকাল বিকেল থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল বিক্ষোভকারী জনতা। পুলিশ অবরোধ সরাতে গেলে বিক্ষোভকারীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর এই অশান্তির মধ্যে পড়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বাবা জানান, গোলমালের সময় ছেলে রাস্তায় জিনিস কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তার বুকে গুলি লাগে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ সকালে তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে যেভাবে দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে, তা বন্ধ করতে নাকি ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা!’ চাঁপদানী, আমতলার প্রসঙ্গ টেনে সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের এই বিক্ষোভের প্রভাব পড়েছে রেলে। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ধুলিয়ানগঙ্গা ও নিমতিতা স্টেশনের মাঝে ট্র্যাক অবরোধের জেরে অন্তত পাঁচটি ট্রেন আটকে পড়েছে। এর আগে, ৮ এপ্রিল একই ইস্যুতে জঙ্গিপুরের উমরপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ ও পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল। এইমুহুর্তে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন অংশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, “এইমুহুর্তে প্রতিটি অঞ্চলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে।”
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |