৫০ হাজার ভুয়ো সরকারি কর্মী, ২৩০ কোটির বেতন দুর্নীতি মধ্যপ্রদেশে? বিরাট তথ্য ফাঁস

Published on:

Salary Scam In Madhya Pradesh

প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: খাতায় কলমে ৫০ হাজার সরকারি কর্মীদের নাম নথিভুক্ত হলেও গত ছয় মাস ধরে চলছে ২৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি চলছে মধ্যপ্রদেশে (Salary Scam In Madhya Pradesh)! ভূতুড়ে সরকারি কর্মীর তালিকা তৈরি থাকলেও গত ছয় মাস ধরে মিলছে না কোনো বেতন! তবে কি আত্মসাৎ করা হচ্ছিল সম্পূর্ণ টাকা। সম্প্রতি বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই ৯ শতাংশ কর্মীর বেতন না পাওয়ার ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

ঘটনাটি কী?

সরকারি নথি সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে প্রায় ৫০ হাজার সরকারি কর্মী রয়েছে। তাঁদের সকলের নাম সরকারি খাতায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি রয়েছে এমপ্লয়ি কোডও। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল গত প্রায় ছ’মাস ধরে অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে এই সকল কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। আর এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হল কর্মীরা বেতন না পেলেও কে কেউ অভিযোগ জানাচ্ছেন না। তাহলে ব্যাপারটা কী? এই ৫০ হাজার সরকারি কর্মী কি তবে ভুয়ো? নাকি সরকারি নথিতে লুকিয়ে রয়েছে ২৩০ কোটি টাকার ব্যাপক দুর্নীতি?

বেতনের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ!

এদিকে রাজ্যের মোট সরকারি কর্মীর ৯ শতাংশই এই ৫০ হাজার জন। তাদের মধ্যে ৪০ হাজার কর্মী স্থায়ী। এবং বাকি ১০ হাজার কর্মী অস্থায়ী। কিন্তু একসঙ্গে ৫০ হাজার কর্মীর বেতন কেন ডিসেম্বর থেকে আটকে রইল তার তথ্য বাইরে বেরিয়ে আসতেই বিস্ফোরক তথ্য বের করল মধ্যপ্রদেশের সরকারের কমিশনার অব ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস (সিটিএ)। এতদিন ধরে নাকি সরকারি খাতায় ভুয়ো কর্মী দেখিয়ে বেতনের টাকা নয়ছয় করা চলছিল।আর সেক্ষেত্রে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে এবং গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় গত ২৩ মে অ্যাকাউন্ট কমিশনার (সিটিএ) সমস্ত ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসভার্সিস অফিসারদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

অভিযুক্তদের বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়া নির্দেশ

চিঠিতে ৬ হাজার ডিভিওকে তদন্তের আওতায় এনে স্পষ্ট করে জানতে চাওয়া হয়েছে যে, IFMIS সিস্টেমের অধীনে ৫০,০০০ কর্মীর বেতন কেন প্রক্রিয়া করা হয়নি। এদিকে, তাদের কর্মী কোড রয়েছে ঠিকই কিন্তু কোনও ভেরিফিকেশন বা যাচাইও অসম্পূর্ণ। তাঁরা আদেও চাকরি ছেড়েছেন কি না এরও কোনও তথ্য নেই। তাই অভিযুক্তদের ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যদি সেক্ষেত্রে তাঁরা এই নির্দেশ অমান্য করে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে চরম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই প্রসঙ্গে , বিস্মিত ট্রেজারি ও অ্যাকাউন্টস কমিশনার ভাস্কর লক্ষ্মকর। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় এটা কোনও বেতন না পাওয়ার ঘটনা নয়। হতে পারে বড় কোনও দুর্নীতি। সেক্ষেত্রে কোনও রকম দুর্নীতি সরকার বরদাস্ত করবে না।” বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কর্মীরা যদি চাকরি ছেড়ে দেয় তাহলে চাকরি ছাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াও হয়নি। তাই বড় দুর্নীতি তো রয়েছেই। এদিকে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসায় ট্রেজারি দপ্তর মধ্যপ্রদেশজুড়ে ভেরিফিকেশন অভিযানে নেমেছে।

আরও পড়ুন: মিড ডে মিল বিতর্কে মুখ খুললেন ব্রাত্য বসু! রাজ্য সরকারের তরফে দিলেন পাল্টা হিসাব

CBI তদন্তের দাবি তৃণমূলের

প্রসঙ্গত, ২৩০ কোটি টাকার বিড়ম্বনার মুখে পড়ে এখনই কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে চাইছেন না মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী। এই অবস্থায় অর্থদপ্তরের এক প্রবীণ আধিকারিকের বক্তব্য, চাকরি ছাড়ার প্রক্রিয়া ছাড়াই টানা কেউ যদি ছ’মাস বেতন না নিয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই কোনও গরমিল রয়েছে। চুপ থাকেনি বিরোধী শিবির। হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডলে তাদের অভিযোগ, ‘লুটে খাও, মজা পাও!— এটাই বিজেপির মডেল।

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group