প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দেখতে দেখতে পুজো প্রায় দোরগোড়ায়। উৎসবের মরশুমে চারিদিকে একজন শুধুই খুশির আমেজ। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। খুশির রং যেন কলকাতার অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় বাঙালির এই খুশির মেজাজ আরও কয়েকগুণ বাড়াতে বড় উদ্যোগ নিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishekh Banerjee)।
অভিষেকের পুজোর উপহার
দুর্গাপুজো মানেই তার একটা সর্বজনীন রূপ রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল পুজোর উপহার। কিন্তু সেই উপহার কেনার মতো সামর্থ্য অনেকেরই থাকে! সেকারণে প্রত্যেকবারের মতো এ বছরও নিজের সংসদীয় এলাকায় সক্রিয় ভূমিকায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সাধারণ নেতা কর্মীরাই ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে এই উপহার। এই সময়ের রিপোর্ট অনুযায়ী ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, বিষ্ণুপুর, সাতগাছিয়া, বজবজ, মহেশতলা এবং মেটিয়াবুরুজের প্রায় সাড়ে চার লক্ষের বেশি দুঃস্থ এবং প্রবীণ মানুষের জন্য পুজো উপহার প্রত্যেক বিধানসভার নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
চার লক্ষের বেশি দুঃস্থদের জন্য শাড়ি প্রদান
গতকাল অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকে পুজোর উপহার তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, একটি করে বিধানসভার জন্য ৭০ হাজারের বেশি শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি ও গেঞ্জির সঙ্গে সাংসদের শুভেচ্ছাবার্তা লেখা কার্ড পাঠানো হয়েছে। তবে প্রয়োজন পড়লে উৎসবের মুখে আরও উপহার সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পর্যবেক্ষক শামিম আহমেদ বলেন, ‘এবারও দুঃস্থ এবং প্রবীণ মানুষদের জন্য পুজোর উপহারের ব্যবস্থা করেছেন অভিষেক। আজ থেকে বিধায়ক পান্নালাল হালদার ও দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পুরসভা এলাকার ওয়ার্ডে এবং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বুথে বাসিন্দাদের বাড়িতে পৌঁছে সাংসদের উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়েছে।’
আরও পড়ুন: এতগুলো প্রাণ চলে যাওয়ার দায় কার? রাজ্য, KMC, CESC-র কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার এই উদ্যোগ অভিষেকের প্রথম নয়। করোনা সংক্রমণের সময় যে লকডাউন জারি করা হয়েছিল, তাতেও ডায়মন্ডহারবার এলাকার মানুষের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল সাংসদের অফিস। সংকটের দিনে গরম খাবার পেয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এবার আনন্দের দিনেও বাড়ি বাড়ি চলে যাচ্ছে উৎসবের উপহার।