রক্ত জমাট বাধা চোখে সাত ঘণ্টা অস্ত্রোপচার! এখন কেমন আছে অভিষেক?

Published:

abhishek banerjee
Follow

প্রীতি পোদ্দার কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের জেরে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন কর্মসূচি নিয়ে বিরাট সমস্যায় পড়েছে প্রশাসন। রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যেন নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের করা মন্তব্য খবরের শিরোনামে উঠে এলেও দেখা যাচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে তিনি এখান রয়েছেন আমেরিকায়। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে ফের আরও একবার তাঁর ডান চোখে অস্ত্রোপচার হয়। এবং এবার এই অস্ত্রোপচার নিয়ে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন তিনি।

কী বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?

গতকাল অর্থাৎ সোমবার অভিষেক নিজের এক্স পোস্টে তাঁর রক্ত-জমাট চোখের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, ‘‘আমার চোখের সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচারের পর সদয় শুভকামনার জন্য আমি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই।” এর পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন যে, “২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকে আমি আমার দৃষ্টিশক্তি নিয়ে নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। এই নিয়ে অষ্টম অস্ত্রোপচার হল। তবে এবার ভাল ভাবেই হয়েছে সব কিছু। তার জন্য আমি বেশ খুশি। এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে এবং দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ করতে কিছু পোস্ট-অপারেটিভ নির্দেশিকা এবং সতর্কতা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।”

কী হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে?

আসলে ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর মুর্শিদাবাদে দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার সময় সিঙ্গুরের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল। এই ভয়ংকর কাণ্ডে তাঁর ডান চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছিল। যার দরুন আমেরিকার বাল্টিমোর শহরে জন হপকিনস হাসপাতালে একাধিক বার তাঁর ডান চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এর আগে মোট ৭ বার অপারেশন হয়েছে। এখন অবস্থা অনেক বেশি ভালো আছে।

দলের সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় ফিরে বিশ্রামের পর চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তীকালে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেবেন বলেই জানা যাচ্ছে। তার কারণ পুজো মিটতেই বঙ্গে আসন্ন ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। তাই তার আগে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁকে ফের অংশ নিতে দেখা যাবে বলে আশায় রয়েছেন তৃণমূল সমর্থকেরা।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join