কলকাতাঃ আরজি কর-কাণ্ডকে ঘিরে বর্তমানে সরগরম হয়ে রয়েছে সমগ্র বাংলা। শুধু তাই নয়, এই বিক্ষোভের আগুন গোটা দেশ ও বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু আরজি কর-এ ঘটে যাওয়া নক্ক্যারজনক ঘটনা নিয়ে বাংলার শাসক দল তৃণমূল নাকি আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। শাসক দলের একের পর এক হেভিওয়েট নেতা যেমন প্রথমে শান্তনু সেন, তারপর সুখেন্দুশেখর রায় এবং পরে মদন মিত্র, এনারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তবে এবার এই ঘটনায় নতুন নাম যোগ হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে মনে হচ্ছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, আরজি কর-এ তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ‘All is Not Well’। ঘটনায় নাকি রাজ্য সরকারের ভূমিকাতেও নাকি ক্ষুব্ধ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনেকে। এহেন আবহে এবার নতুন গ্রুপ খোলা হল তৃণমূলের তরফে।
নতুন গ্রুপ খুলল তৃণমূল!
বিগত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সক্রিয় ছিল। কিন্তু এই গ্রুপই যেন সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে সম্প্রতি। এই গ্রুপে নাকি শেষ নোটিফিকেশন এসেছিল গত ১৪ আগস্ট রাত ১:৪৪ নাগাদ। আরজি কর হাসপাতালে বহিরাগতদের হামলার তীব্র নিন্দা করে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর সে কথা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন অভিষেক। সেই লিঙ্ক গ্রুপে লাস্ট পোস্ট করা হয়েছিল। এই গ্রুপটির আবার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস। তবে ৭ দিন কেটে গেলেও সেই গ্রুপে কোনওরকম অ্যাক্টিভিটি না থাকায় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আর এবারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা দেখে চমকে গিয়েছেন সকলে।
নতুন গ্রুপে নেই অভিষেক!
জানা যাচ্ছে, একদিকে যখন আরজি কর-কাণ্ডে দলকে নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশে তখন অভিষেকের এই মিডিয়া টিম থেকে কোনওরকম কিছু পোস্ট করা হয়নি। আর এতেই নাকি বেজায় চটেছে অনেকে বলে শোনা যাচ্ছে। ফলে এবার রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশে গতকাল বুধবার রাতে নতুন হোয়াটসঅ্যাপ মিডিয়া গ্রুপ খুললেন দলের সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। এই গ্রুপে রয়েছেন জয়প্রকাশ-চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-কুণাল ঘোষ সহ বেশ কয়েকজন মুখপাত্র। আর এই গ্রুপই এবার অ্যাক্টিভ হল বলে খবর। নতুন এই গ্রুপ ক্রিয়েট হওয়ার পর থেকে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে তাহলে কি দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে সহমত নন অভিষেক? ক্রমেই দূরত্ব বাড়াচ্ছেন দল থেকে? দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, ২৮ অগস্ট ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতি বছর ওই দিন বড় কর্মসূচি থাকে। তার আগে দলের মধ্যে এই পরিস্থিতি শুভলক্ষণ নয়।