প্রীতি পোদ্দার, বীরভূম: এই মুহুর্তে বিরোধী দলের সঙ্গে শাসকদলের লড়াই রাজনীতির ময়দানে এক অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইদানিং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের লড়াই যেন এক অন্য মাত্রায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ উঠলে সবার প্রথমে যেই দুই নাম উঠে আসে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে সেটি হল অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ। তাঁদের ‘দ্বন্দ্ব’ নিয়ে বিস্তর জল্পনা এবং আলোচনা চলে প্রায়ই। আর এই আবহে এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাঝেই বোমা পড়ল বীরভূমের (Birbhum) মাটিতে।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কাঁকরতলা থানা এলাকার জামালপুরে বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। একের পর এক বোমা পড়ায় ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনের পর দিন কাঁকরাতলা থানা এলাকার সকলের নজর এড়িয়ে জামালপুর গ্রামের ভিতর গড়ে উঠেছে এক বেআইনি বালি খাদান। আর সেখান থেকেই নাকি প্রতিদিন শয়ে শয়ে লরিতে করে বালি পাচার করা হয়। আর এই বালি পাচার কাণ্ডে যুক্ত ছিল রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা।
নাম উঠছে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর
স্থানীয় সূত্রের দাবি, বিগত কয়েকদিন ধরে এই বালির বখরা নিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের দু’পক্ষের মধ্য বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। মতের অমিল থাকায় চলছে নানা দ্বন্দ্ব। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত থেকে ঝামেলা বড় আকার ধারণ করেছে। যার ফলে মাঝ রাত থেকে শুরু হয়ে যায় দুই পক্ষের মধ্যে বোমাবাজির লড়াই। এদিন সকালেও চলে বোমাবাজির ঘটনা। জানা গিয়েছে কাজল শেখ গোষ্ঠীর স্বপন সেন ও অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠীর কোর কমিটির উজ্জ্বল হক কাদেরীর লোকজনের জেরেই চলে এই বোমাবাজির ঘটনা। ইতিমধ্যে জখম হয়েছেন একজন। বোমার আঘাতে পা উড়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। গোটা ঘটনায় গ্রামে তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ভয়ের আতঙ্কে গ্রামছাড়া হয়েছে মহিলা ও শিশুরা।
আরও পড়ুনঃ নরম সুরে হাতজোর করে আবেদন অনুব্রতর, হলটা কী কেষ্টর?
গোটা ঘটনায় শাসকদলকে খোঁচা বিরোধীদের
বোমাবাজির ঘটনার পুলিশের কাছে পৌঁছতেই সঙ্গে সঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে। এদিকে গোটা ঘটনায় শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির দুবরাজপুরের স্থানীয় বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, টাকার বখরা নিয়ে শাসকদলের দু’পক্ষের গোলমাল থেকেই এই বোমাবাজির ঘটনা। অন্যদিকে অভিযোগ উড়িয়ে শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |