মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানি তৃণমূল নেতার, ক্ষমা চেয়ে পাল্টা নির্যাতিতাকেই দুষলেন তিনি

Published on:

tmc flags

গোঘাটঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের উপর ধর্ষণ ও তাঁর খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিদিন আন্দোলন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। মঙ্গলবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযান করে ছাত্রসমাজ। আর এই অভিযানে পুলিশের সঙ্গে তুমুল অশান্তি বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। এরই প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দেয় রাজ্য বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার মঙ্গলবার দুপুরেই এই বনধ ঘোষণা করেন।

WhatsApp Community Join Now

যদিও তারপর থেকেই বিজেপির ডাকা এই বনধ না মানার আর্জি জানিয়ে আসছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকার। বুধবারও এই নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বনধ-বিরোধী মিছিল শুরু করে তৃণমূল। আর সেই মিছিল আটকাতে গিয়ে এবার শ্লীলতাহানির শিকার হলেন কর্তব্যরত এক মহিলা পুলিশকর্মী। পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারী এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। যদিও তারপর অভিযুক্ত নেতা ক্ষমা চেয়েছেন জনসমক্ষে। তাও এই ঘটনা নিয়ে ফের নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যের শাসক দলকে ঘিরে।

জনসমক্ষে মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

বুধবার হুগলি জেলার গোঘাটে বিজেপির ডাকা বনধের বিরোধিতায় একটি পাল্টা মিছিল বের করে তৃণমূল। আর এই মিছিলে বাধা দেন গোঘাট থানার এক মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর। সেখানেই ওই মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গে বচসা বাঁধে গোঘাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি ও বন কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয় খানের। ওই পুলিশকর্মীকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য ও অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ ওঠার তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

শেষমেষ ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হওয়ার পরই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা গোঘাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি ও বন কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয় খান সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ক্ষমা চান। সেইসঙ্গে তিনি পাল্টা দাবি করেন, “গতকাল বিজেপি গোঘাটের পচাখালি এলাকায় পথ অবরোধ করে। সেখানে গিয়ে দেখি ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক নিজে পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি তাঁকে বলি পুলিশকর্মী হিসাবে এই কাজ তিনি করতে পারেন না। তখনই তাঁর সঙ্গে বচসা হয়।”

ঘটনার জেরে ফের উঠলো নিন্দার ঝড়

নির্যাতিতা এক মহিলার বিচার চাইতে যখন এত কিছু, তখন প্রকাশ্যে এভাবে কর্তব্যরত মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ব্যাপকভাবে নিন্দনীয়। এই ঘটনার জেরে নিন্দিত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে যে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলতে কিছুই বেঁচে নেই।

সঙ্গে থাকুন ➥