প্রীতি পোদ্দার: ২০২২ সালে গরু পাচার মামলায় প্রথম CBI-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বেশ কিছু দিন তিনি আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন। এরপর তাঁকে হেফাজতে নেয় ED এবং দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। দীর্ঘ সময় তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন। এরপর গত শুক্রবার জামিন পান এই তৃণমূল নেতা। প্রায় দুই বছর পর জেল মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করলেন তিনি।
দুই বছর অবশেষে নিজের বাড়িতে কেষ্ট!
মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে বীরভূমে নিজের বাড়িতে ফিরলেন তৃণমূল এর দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ তিনি বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছন। বাড়ির আঙিনায় এসে তাঁকে বীরভূমবাসীর এই আহ্বান দেখে এবং অনুগামীদের উপচে পড়া ভিড় দেখে চোখে জল চোখে আসে কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডলের। গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে গলায় মালা পরিয়ে দেন অনুগামীরা। এরপর তিনি এবং তাঁর কন্যা বাড়ির ভেতরে চলে যান।
ঘরের ছেলে ফেরার খবর পেতেই সেখানকার সিউড়ি দলীয় কার্যালয় পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়ে যায়। বসানো হয় ফ্লেক্স, তাঁর নামাঙ্কিত বোর্ড। কার্যালয়ের তাঁর বসার ঘরও সাজানোর হয়েছে। হাওয়ায় সবুজ আবির উড়েছে। শুধু তাই নয়, মাংস ভাত খাওয়া হয় পাড়ায় পাড়ায়। ঢাক, বাতাসায় রব রব উৎসব বীরভূমের পরিবেশে। শঙ্খ এবং উলুধ্বনির মাধ্যমে স্বাগত করা হচ্ছে তাঁকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে কী বললেন কেষ্ট?
তবে বীরভূমে ফেরার পথে মাঝখানে বর্ধমানের পর একটি জায়গায় সামান্য সময়ের জন্য থামে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। সেই সময় সেখানে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে জানান, “দিদির জন্য আছি, সবসময় থাকব। যদি শরীর ভালো থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে।” এছাড়াও বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি জানান, “ এইমুহুর্তে কোনও বিতর্কে যাব না। আমি আদালতকে সম্মান করি এবং আইন মেনে চলতে চাই বলেও দাবি এই নেতার।”
প্রসঙ্গত গরুপাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর পাশেই থাকতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। মমতা খোঁদ জানান, অনুব্রতকে ফাঁসানো হয়েছে। দল তাঁর পাশে রয়েছে। অুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় শতাব্দী রায়কে। পাশাপাশি, অনুব্রতকে ‘বাঘ’ বলে উল্লেখ করেন ফিরহাদ হাকিম।