‘মাথা থেঁতলে খুনের ছক ছিল!’ নাগরাকাটা হামলায় প্রথমবার মুখ খুললেন খগেন মুর্মু

Published:

Khagen Murmu
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটা হামলায় আহত খগেন মুর্মু (Khagen Murmu) চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন। শিলিগুড়ির নার্সিংহোমের বেডে শুয়ে তিনি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আমাদেরকে পরিকল্পনা করেই খুন করার চেষ্টা চালিয়েছিল। গাড়ি থেকে টেনে বের করে মাথা থেঁতলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন। এমনকি তাঁর মুখে গভীরভাবে ক্ষত। দাঁতের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। অন্তত একমাস তাঁর বিশ্রাম প্রয়োজন, এমনটাই জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

কী ঘটেছিল সেদিন?

গত সোমবারের ঘটনা। সেদিন দুপুরবেলা নাগরাকাটার বামনডাঙ্গা গ্রামে দুর্যোগকবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু  এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তবে সেখানে স্থানীয় কিছু মানুষ তাঁদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি মুহূর্তের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আর তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। আর এতে গুরুতর আহত হন খগেন মুর্মু। পাশাপাশি শঙ্কর ঘোষও চোট পান। সবথেকে বড় ব্যাপার, তাঁদের গাড়িতেও ভাঙচুর চলে। পরে স্থানীয়দের তৎপরতায় দুজনকে শিলিগুড়ি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের বেডে থেকে খগেন মুর্মু আজ বলেছেন, যারা আমাদেরকে মারছিল, তারা নিজেরাই বলছিল যে, আমরা দিদির লোক। এখানে বিজেপির কোনও স্থান নেই। যদি আমরা ওখান থেকে বেরোতে না পারতাম, তাহলে হয়তো প্রাণে মরে যেতাম। এমনকি শঙ্কর ঘোষ ফেসবুক লাইভে দাবি করেছেন, হামলাকারীরা নিজেদেরকে দিদির লোক বলেই পরিচয় দিচ্ছিল।

তৃণমূলের পাল্টা দাবি

তবে তৃণমূল কংগ্রেস কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের কোনও সম্পর্ক নেই, এমনটাই জানাচ্ছে তারা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই হাসপাতালে গিয়ে খগেন মুর্মুর খোঁজ নিয়েছিলেন। রাজ্যের উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেছেন, আমরা আগেই বলেছি, এরকম ঘটনা ঠিক হয়নি। তবে খুন করার চক্রান্তের গল্পটা সত্যিই সাজানো। কেউ যদি সত্যিই খুন করতে চায়, তাহলে কেবল গাল কাটবে কেন?

আরও পড়ুনঃ Gmail-এ না থাকা Zoho Mail-র সেরা কিছু ফিচার, অ্যাকাউন্ট খোলার আগে জানুন

গ্রেফতার হয়েছে চারজন

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এই হামলার পিছনে থাকা চারজন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে একজন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী, আর বাকি তিনজন গোবিন্দ শর্মা, শাহানুর আলম এবং তোফায়েল হোসেন। উল্লেখ্য, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁদের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ফলে রাজনৈতিক জলঘোলা যে আরও গড়াচ্ছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join