আর হাতে মাত্র ৪ দিন। তারপরই শুরু হয়ে যাবে দেশের গণতন্ত্রের উৎসব। লোকসভার ভোটের কারণে শাসক থেকে বিরোধী প্রতিটি দলই এখন কোমর বেঁধে প্রচার চালাচ্ছে। ভারতে এবার মোট ৭ দফায় নির্বাচন হবে। ৪ঠা জুন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে। মানে … ওই দিন ভোট গণনা। আর তাঁর আগে দেশজুড়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে।
ইতিমধ্যে সমস্ত দলই তাঁদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রকাশ্যে এনেছে। গতকাল বাংলার নববর্ষের দিনে দিল্লির মসনদে বসে থাকা ভারতীয় জনতা পার্টিও নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। এই ইস্তেহারে দেশবাসীকে অঢেল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর মধ্যে অন্যতম হল আগামী ৫ বছর বিনামূল্যে রেশন। গ্যাস ও ইলেকট্রিকের দাম কমানো। পাইপের মাধ্যমে বাড়িবাড়ি গ্যাস সরবরাহ। কর্মসংস্থানের সুযোগ। আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় প্রবীণদের যুক্ত করা ইত্যাদি ইত্যাদি।
কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়
BJP ইতিমধ্যে বাংলায় তাঁদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। শুধুমাত্র ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র বাদে। এবারের বিজেপির এই প্রার্থী তালিকায় সবথেকে বেশি চর্চিত হলেন কৃষ্ণনগরের প্রার্থী অমৃতা রায়। তিনি কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বংশধর। এবার তাঁকে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানে নামানো হয়েছে।
অসুস্থ রাজমাতা
তবে, অমৃতা রায়কে নিয়ে এবার খারাপ খবর এসেছে। টানা প্রচারের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী। এর আগে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রও প্রচারে বেরিয়ে একাধিকবার অসুস্থ হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে যে, অমৃতা রায়কে আপাতত বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কী হয়েছে তাঁর?
আর প্রচারে বেরোবেন না রাজমাতা?
পারিবারিক সূত্রে খবর, নববর্ষের দিনে প্রচারে বেরিয়ে আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন কৃষ্ণনগরের রাজমাতা। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হয়। চিকিৎসক ওনাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অমৃতা রায়ের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আবহাওয়া চেঞ্জের কারণে ঠান্ডা-গরম লেগে তাঁর শরীর খারাপ হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তিনি আগামী দিনে প্রচারে বেরোবেন কী না, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে ভাঙন, BJP-তে যোগ দিচ্ছেন সায়নী ঘোষ? যাদবপুরের প্রার্থীর দাবিতে হৈচৈ
তবে শুধু বিজেপির প্রার্থীই নন, এর আগে শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নুরুল ইসলাম। তাঁর অবস্থাও এখন স্থিতিশীল। তবে এই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে, তৃণমূল বসিরহাটে তাঁদের প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারে।