প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বাংলাদেশে জ্বলছে হিংসার আগুন। আর সেই হিংসার আগুনে রীতিমত বেড়েই চলেছে দ্বন্দ্ব, বিক্ষোভ এবং বিতর্ক। আর এই আবহে এবার বঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ওপর হামলার পরিকল্পনা করল বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনগুলি। একটি জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশ বিরোধী মন্তব্য করার জন্যই এবার হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তরফ থেকে নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশকে।
বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর
সম্প্রতি একটি জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, “হাসিমারাতে ৪০টি রাফাল আছে। আরও বহু জায়গায় রয়েছে। মাত্র দু’টো রাফাল যদি উড়িয়ে দেয় ভারত, প্যান্টে বাথরুম করে ফেলবে বাংলাদেশ।” শুধু তাই নয়, তাঁকে ওই জনসভায় আরও বলতে শোনা যায় যে “আমরা বাংলাদেশের উপর নির্ভর করি না। বাংলাদেশ আমাদের উপর নির্ভরশীল। আমরা যদি পণ্য না পাঠাই, তোমরা চাল-ডাল, জামাকাপড় কিছু পাবে না। ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যদি না পাঠাই তোমাদের ৮০ শতাংশ গ্রাম অন্ধকারে ডুবে থাকবে।” আর তাতেই প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশী জঙ্গিদের মধ্যে।
শুভেন্দুর উপর বাংলাদেশি জঙ্গি হামলার ছক!
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের দুই জঙ্গি সংগঠন, হারাকত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি ও হিজব-উত-তাহির এই হামলার ছক কষেছে। আর এই হামলার জন্য দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে তিনজন বাংলাদেশি দুষ্কৃতীকে। এমনিতেই Z ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু। তার পরও জনসভায় বা কোথাও তাঁর নিরাপত্তায় যাতে কোনও খামতি না থাকে, তার জন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শুভেন্দুর উপর হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সতর্কতা এবং নজরদারি দুইই বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনো কিছু বলেননি শুভেন্দু অধিকারী।
তবে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার জঙ্গি সম্পর্কিত বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে ৮জন জঙ্গি ধরা পড়ে। তাদের সঙ্গেও বাংলার লিঙ্ক রয়েছে। তার কারণ পশ্চিমবঙ্গে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে, কামালগাজি মোড় থেকে যে রাস্তা ক্যানিং হয়ে গোসাবার ঘাট পর্যন্ত গিয়েছে এই রাস্তা দুটো জঙ্গিদের হাতে চলে গিয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে সম্পূর্ণ মমতা ব্যানার্জির ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণে।’