প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই বাংলায় ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের এই মহাযুদ্ধে একচুলও জমি ছাড়তে নারাজ রাজনৈতিক দলগুলি, তাই এখন থেকেই শুরু হয়েছে ভোট প্রচারের প্রস্তুতি। কিন্তু তার আগেই রাজ্যে শুরু হতে চলেছে SIR। ইতিমধ্যেই দিনক্ষণ এবং প্রক্রিয়া নিয়ে নানারকম আলোচনা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই নিয়ে বেশ উত্তাল বঙ্গ-রাজনীতি। এমতাবস্থায় ফের SIR নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বাঁকুড়ার (Bankura) এক তৃণমূল নেতা।
SIR নিয়ে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ বুধবার, বিকেলে বাঁকুড়ার জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মহিলা তৃণমূলের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বাঁকুড়া শহর সভাপতি ও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই সভায় দলীয় কর্মীদের ভোট প্রচার সংক্রান্ত নানা সতর্কবার্তা প্রদান করেছিলেন আর সেই সময় SIR প্রক্রিয়া নিয়ে করে বসলেন বিস্ফোরক মন্তব্য। এরিন তৃণমূল নেতা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ আমরা জীবন দিতে রাজি আছি। কিন্তু বিজেপির মতো ধান্দাবাজদের দলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। তাই বিজেপির যাঁরা SIR করতে যাবে আপনাদের বাড়ি, তাঁদের জুতো, ঝাঁটা দিয়ে পিটিয়ে গ্রাম থেকে বের করে দেবেন।”
কী বলছেন বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা?
সভা চলাকালীন উপস্থিত মহিলাদের উদ্দেশে তৃণমূল নেতা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে নিশানা করে বলেন যে, ‘‘বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা ভোটার তালিকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে গ্রামের মানুষের তো ক্ষোভ হবেই। এটা তো বিজেপির কাজ নয়, নির্বাচন কমিশনের কাজ। অথচ বিজেপি নেতারা রাস্তায় নেমে ভুল বোঝাচ্ছেন, ধমকাচ্ছেন, চমকাচ্ছেন। এতে মানুষের ক্ষোভ হওয়াটাই স্বাভাবিক। গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।’ আর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই পাল্টা হুঁশিয়ারি জানিয়েছে বিরোধী দল। তাদের দাবি, পর্দা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভোট এবার সকলকে এমন ভাবেই আতঙ্কে রাখছেন তারা।
আরও পড়ুন: উৎসবে বেঁধে দেওয়া হবে ছবি মুক্তির সংখ্যা, টলিউডে নতুন নিয়ম
পাল্টা জবাব বিজেপির
বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বিকাশ ঘোষ দাবি করেছেন যে, “জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে উনি কোনও কাজই করেননি। এখন বিজেপির নাম নিয়ে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন, মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন। তৃণমূলের লোকজন যদি এই এলাকায় ঢোকেন, বিজেপিরও টিম তৈরি আছে। সাধারণ মানুষও বিজেপির সঙ্গে। তাই মানুষ কাকে ঝাঁটা, জুতো দিয়ে মারবে, তা আগামিদিনে প্রমাণ হয়ে যাবে।” এর আগেও তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, বুথ লেভেল অফিসারেরা গ্রামে গ্রামে গেলে তাঁদের সঙ্গে যান। তাঁদের গতিবিধির উপর নজর রাখুন। কারও নাম বাদ গেলেই আন্দোলন গড়ে তুলুন। যা নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক অন্দরে।












