ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা বাঁকুড়ায়! গ্রেপ্তার তৃণমূল কর্মী তাপস বাগদী

Published:

Bankura
Follow

প্রীতি পোদ্দার, ইন্দাস: দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতে বাঁকুড়ায় (Bankura) ফের ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল শাসকদলের কর্মীর বিরুদ্ধে৷ বাড়িতে ঢুকে বিজেপি সমর্থক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ঘটনার পর নির্যাতিতা বিষয়টি থানায় জানাতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে বাঁকুড়া পুলিশ সুপারের দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের হলে রাতারাতি গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল কর্মী তাপস বাগদীকে।

ধর্ষণের চেষ্টা তৃণমূল কর্মীর

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস বিধানসভার করিশুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুরানী পুষ্করিনি গ্রামে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যে নাগাদ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বিজেপি বিজেপি সমর্থক এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মী তাপস বাগদী। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওই গৃহবধূ জানান তিনি বিকেলে ছেলেকে পড়াচ্ছিলেন। পড়া শেষ হলে ছেলে পাশের বাড়িতে গেলে সেই সময় কেউ ছিল না। দরজা খোলাই ছিল। সেই সময় হঠাৎ করে তাপস বাগদী ঘরে ঢুকে পড়ে ও তাকে পিছন থেকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে অভিযুক্ত সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাপস বাগদীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে তাঁর স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যান বলে অভিযোগ।

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

গৃহবধূর আরও অভিযোগ তাঁর স্বামী বিজেপি সমর্থক এবং তাঁর কাকা স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতি। কিন্তু অভিযুক্ত যেহেতু শাসকদলের কর্মী, তাই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুলিশে অভিযোগ করতে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এরপর বুধবার স্থানীয় ও জেলার বিজেপি নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। পুলিশ সুপারের সঙ্গে নির্যাতিতার সরাসরি দেখা না হলেও তিনি পুলিশ সুপারের দফতরে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। অবশেষে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল কর্মী তাপস বাগদীকে গ্রেপ্তার করে ইন্দাস থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। গতকাল অভিযুক্তকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভালো ঘরের ছেলে, মেধাবী, দুর্গাপুর ধর্ষণে জড়িত ওয়াসিফ! বিশ্বাসই করতে পারছে না গ্রামবাসী

ক্ষুব্ধ বিজেপি

এই ঘটনায় বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তি বলেন, “এই ঘটনায় তৃণমূল সরাসরি জড়িত। কারণ অভিযুক্ত আসলে তৃণমূলের পোষা গুন্ডা৷ এরা পশ্চিমবঙ্গে যা ইচ্ছা করছে৷ রাজ্যে মা-বোনদের কোনও সুরক্ষা নেই ৷ পশ্চিমবঙ্গে কোথাও না কোথাও কেউ প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন৷ যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণকাণ্ড। দিদিমণি ভাবছে ১০০০ টাকা দিয়ে মা-বোনোদের ইজ্জত কিনে নেবেন৷ খুব শীঘ্রই তাঁর পতন ঘটতে চলেছে।”

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join