প্রীতি পোদ্দার, রায়দিঘি: সামনেই উপনির্বাচন। তাই এই কারণে রাজ্যের ৫টি জেলা বাদে বাকি সব জেলায় আবাস যোজনার চূড়ান্ত পর্যায়ের সমীক্ষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে সমীক্ষা এবং আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল এলাকায় এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগের তীর গেল শাসকদলের প্রতি।
তালিকাকে ঘিরে রায়দিঘিতে উত্তাল স্থানীয়দের!
সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের রায়দিঘিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই তালিকা নামের গরমিল ও স্বজনপোষণের অভিযোগে রাগে এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসী। এবং সঙ্গে সঙ্গে এলাকার মানুষজন BDO অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের অভিযোগ, একদিকে প্রকৃত প্রাপকদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নাম তোলা হচ্ছে তালিকায়। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে এই ঝামেলা শুধু রায়দিঘি নয় ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন জেলায়।
ঘেরাও BDO অফিস
আবাস যোজনার তালিকায় স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে হুগলির গোঘাটে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডের বিরুদ্ধে। সেখানে প্রকৃত প্রাপকদের বদলে বাড়ি দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল সদস্যদের স্বজনপোষণদের। আবার অন্যদিকে আবাস যোজনার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তুলে বীরভূমের রামপুরহাটেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তিলডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। সেখানেও শাসকদলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে সকলে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সমীক্ষা ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল চোপড়া এলাকা। ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল স্থানীয়রা। সমীক্ষা শুরু হতেই সরকারি কর্মীদের ওপর কার্যত ফুঁসে ওঠেন এলাকাবাসীরা।
এই প্রসঙ্গে, মান্দারণ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেত্রী রুকসত পারভিন বলেন, “যখন সার্ভে করতে এসেছে তখন প্রচুর লোক আমার বাড়িতে গেছে, সবাই বলছে আমাকে ত্রিপল দেয়নি কেন? বাড়ি দেয়নি কেন? সেই জন্য বিডিও সাহাবের কাছে এসে, এদের একটা বাড়ির ব্যবস্থা করে দিন। যাদের পাওয়ার যোগ্য নয়, তাদের সার্ভে হচ্ছে, যারা পাওয়ার যোগ্য তারা পাচ্ছে না। তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী শেখ বসির আলি বলেন, কোনও গরীব মানুষের যাদের বাড়িতে জল পড়ছে তাদের একটি ত্রিপল দেওয়া কী তাদের বাড়ি ভাঙল…পক্ষপাতিত্ব হয়েছে। তালিকায় সঠিক উপভোক্তাদের নাম নেই বলে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরাও।