প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। হাতে বাকি আর মাত্র কয়েক মাস, তাই ভোটের হওয়া বুঝে এখনই সটান ময়দানে নেমে পড়েছে শাসকদল। তবে শুধু শাসক দল নয়, বিরোধী দলগুলিও উঠে পড়ে লেগেছে। এমতাবস্থায় বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়েছে চারিদিকে। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) সেই অনুষ্ঠানে এবার ভিন্ন চিত্র দেখল বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠল শাসকদলের প্রার্থী পরিবর্তন এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে।
অনুষ্ঠানে গরহাজির বিধায়ক
দুর্গাপুজোর মুখেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেক জেলার ব্লক স্তরে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজনের মাধ্যমে জনসংযোগ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর সেই নির্দেশ মেনেই একাধিক জেলায় চলছে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান। আসলে এর মূল লক্ষ্য হল আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন। কর্মীদের মিষ্টিমুখ করানোর সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিবিড় ব্যাপক জনসংযোগ গড়ে তোলাই হল উদ্দেশ্য। এমতাবস্থায় গতকাল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে ছাড়াই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হল মন্তেশ্বরে। শুরু হল সমালোচনা।
উঠছে প্রার্থী পরিবর্তনের প্রশ্ন
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের ১৭টি ব্লক রয়েছে। প্রতিটি ব্লকে আলাদা করে বিজয়া সম্মিলনী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দলের প্রত্যেক নেতা, কর্মী–সহ সাধারণ মানুষ যেন এই কর্মসূচির বাইরে না থাকেন, তার জন্যই এই আয়োজন। কিন্তু সেই আয়োজনের মাঝেই এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া দেখা গেল। মন্তেশ্বর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে ছাড়াই এবার হল বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান। এমনকি তিনি উপস্থিত না থাকায় অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চের ধারে-কাছেও দেখা গেল না বিধায়ক অনুগামীদের। আর তাতেই সকলের ধারণা এবার হয়ত ২০২৬ বিধানসভার ভোটে মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও সবটাই গুঞ্জন, পরে জানা যায়, বিধায়ক বাইরে আছেন।
আরও পড়ুন: আগরতলায় তৃণমূলের দফতর ভাঙচুর! ত্রিপুরা রওনা কুণাল, সায়নীসহ ৬ সদস্যের
উল্লেখ্য, বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে প্রশাসন। SIR নিয়ে কেন্দ্র যে ভূমিকা নিয়েছে, তা কী ভাবে দলের তরফে খণ্ডন করা হবে, তার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার মানুষকে বিজেপি যাতে কোনও ভাবেই বিভ্রান্ত করতে না পারে, সে দিকেও বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ও আসানসোলে অত্যাধুনিক বড় প্রেক্ষাগৃহগুলি ভাড়া করা হয়েছে। দুর্গাপুরে সৃজনী, আসানসোলে রবীন্দ্রভবন, সম্প্রীতি, রূপনারায়ণপুর শ্রমিক মঞ্চের মতো জেলার একাধিক বড় মঞ্চ ভাড়া করা হয়েছে।