প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিধ্বস্ত অবস্থা উত্তরবঙ্গে। আর সেখানেই স্থানীয়দের ত্রাণ বিলির উদ্দেশে নাগরাকাটায় যেতেই কয়েকশো মানুষের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। লাঠি, জুতো এমনকি পাথর ছুঁড়ে রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই টালমাটাল পরিস্থিতি রাজনৈতিক শিবিরে। এমতাবস্থায় আগরতলায় (Agartala) ঘটল আরেক ঘটনা। ত্রিপুরার তৃণমূলের সদর দফতরে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে উঠল হামলার অভিযোগ।
আগরতলায় বিজেপি তৃণমূল দ্বন্দ্ব
রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলার প্রতিবাদে আগরতলায় তৃণমূলের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তখনই একাংশ বিজেপি কর্মী সেখানে ঢুকে ভাঙচুর চালায়, এমনকি দলীয় পতাকা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বাংলার শাসক দল ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে। জানা গিয়েছে, আজ এই ঘটনার জেরে আগরতলায় যাচ্ছেন তৃণমূলের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দলে থাকছেন প্রতিমা মণ্ডল, সায়নী ঘোষ, কুণাল ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, সুস্মিতা দেব ও সুদীপ রাহারা।
বিবৃতি প্রকাশ তৃণমূলের
আগরতলায় তৃণমূল কার্যালয়ে এইরূপ ভাঙচুরের ঘটনায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছে বাংলার শাসক দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন তাঁরা। যেখানে লেখা হয়েছিল যে, ‘যাঁরা ক্ষমতায় থেকেও প্রতিপক্ষের কণ্ঠ রোধ করতে হিংসার আশ্রয় নেয়, তাঁরা আসলে নিজেদের দুর্বলতা ও নৈতিক দেউলিয়াপনা প্রকাশ করে।’ এছাড়াও সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “বিজেপি একদিকে ‘গণতন্ত্র বাঁচানোর’ কথা বলে, অন্যদিকে রাজ্য থেকে রাজ্যে গণতন্ত্রের ভিতকেই নষ্ট করতে চায়। কিন্তু এতে তৃণমূল যে ভয় পাবে না বা পিছিয়ে আসবে না, তা স্পষ্ট করেছে। সাফ কথা, বিজেপি পার্টি অফিস জ্বালাতে পারে, পোস্টার ছিঁড়তে পারে, কর্মীদের ভয় দেখাতে পারে কিন্তু প্রতিরোধের মানসিকতা মুছে ফেলতে পারবে না।”
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পোস্টে কুরুচিকর মন্তব্য উত্তরপাড়ার তৃণমূল কাউন্সিলরের! FIR করল বিজেপি
উল্লেখ্য গত সোমবার, ভয়াবহ হামলার মুখে পড়ে যখন কোনও ক্রমে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষ, ঠিক সেই সময় তাঁদের পিছন দিক থেকে দুষ্কৃতীরা হামলা করে বলে অভিযোগ। এমনকী শঙ্কর ঘোষকে জুতো ছোড়া হয় বলেও খবর। রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আর এরই প্রতিবাদে রাজ্য তো বটেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও বিক্ষোভ হয়। যদিও তৃণমূলের প্রতিটি কর্মী এবং ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিক এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন।