প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: যেকোনও প্রশাসনিক কাজে এবং জনহিতকর প্রকল্পে বরাবরই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়ে না কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সম্প্রতি জল জীবন মিশন নিয়ে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। আর তাতেই সরকারের কাজের ঢিলেমি প্রসঙ্গ তোলেন সুকান্ত মজুমদার। তাতেই ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। আর এই আবহে ফের বাংলায় জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দুষলেন সুকান্ত মজুমদার।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপায়ীর স্মরণে বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে আয়োজন করা হয়েছিল একটি সভার। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই তিনি বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে সরাসরি আক্রমণ হানেন মমতা সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গবাসী এই মুহুর্তে সব থেকে বেশি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের জঙ্গি ধরা পড়েছে। এর অন্যতম উদাহরণ হল মুর্শিদাবাদ, বসিরহাট। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে সেইসব জঙ্গিদের কাছে ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড কোনও কিছুর অভাব নেই। গোটা ভারতবর্ষের ডেমোগ্রাফিকে বদলানোর চেষ্টা চলছে।
তুলে ধরলেন ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য
এছাড়াও তিনি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য নিয়েও কড়া বক্তব্য পেশ করেন। সুকান্ত বাবু বলেন, “উদ্দেশ্য তো আমাদের ফিরহাদ হাকিম সাহেব বলে দিয়েছেন। এখন রাজ্যে তারা ৩৩ শতাংশ, সেখান থেকে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৫১ শতাংশ হতে হবে। সুতরাং বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেই পরিস্থিতি এখানে হলেও কোনো অসম্ভব বা আশ্চর্যের নয়। সেদিন যদি আপনি বলেন আপনি সেকুলার সেদিনও আপনার কল্লা যাবে। যদি এখন সচেতন না হই আমরা তাহলে সেই দিনের জন্য প্রস্তুত হোন।”
অন্যদিকে একটি জনসভায় বঙ্গ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশ বিরোধী মন্তব্য করার কারণে এবার তাঁর ওপর হামলার পরিকল্পনা বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনগুলির। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশকে। বাংলাদেশের দুটি জঙ্গি সংগঠন হারাকত-উল-জিয়াদ-আল-ইসলামি ও হিজাব-উদ-তাহিরের পরিকল্পনা, দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর।
ইস্টবেঙ্গলের ধমকেই হল কাজ? অবশেষে ডার্বি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল মোহনবাগান