প্রীতি পোদ্দার, পুরুলিয়া: ওপার বাংলায় চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির পর প্রায় দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়ে গেল। জামিনের আবেদন খারিজ করে সেখানকার বিচারপতি টানা ১ মাসের জেলবন্দীর নির্দেশ দিয়েছে। তার জেরে উত্তরোত্তর অশান্তি বাড়ছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে চলমান এই অশান্তির জেরেই মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকারের ঘাড়ে বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপও। নয়াদিল্লি, ব্রিটেন, আমেরিকা একযোগে সরব হয়েছে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল কেড়ে নেওয়ার জন্য নরওয়ের নোবেল কমিটিকে চিঠি লিখলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
নোবেল কমিটিকে চিঠি লিখলেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো
গত ৬ ডিসেম্বর, এক্স হ্যান্ডেলে সেই চিঠির কপি পোস্ট করেছিলেন তিনি। পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো চিঠিতে জানিয়েছেন যে, ‘ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের গণহত্যা চলছে। বেছে বেছে হিন্দু কলোনিগুলিতে আক্রমণ করা হচ্ছে। আর সেটা হচ্ছে সরকারি মদতে। এখানেই শেষ নয়, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্মপালনের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। দুর্গাপুজোর মতো উৎসবেও নানাভাবে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির মাধ্যমে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ধর্মগুরুদের বিভিন্ন ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।” তিনি এই চিঠিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে গণহত্যাকারী হেনরি কিসিঞ্জারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁকে হিন্দু হত্যাকারী কসাই বলে অভিবাদন করেছেন।
মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মৌলবাদী দলগুলো
এবং তিনি চিঠিতে এও দাবি করেন যে “নোবেল পুরস্কারের গরিমা রক্ষা করতেই ইউনূসের নোবেল কেড়ে নেওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, নোবেল কমিটির উচিত ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিবৃতি জারি করা। এবং আগামী দিনে নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের জন্য আরও কড়াকড়ি করা।” আসলে হাসিনা সরকার গদি হারানোর পর থেকেই বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জামাত, হেফাজতে ইসলামের মতো মৌলবাদী দলগুলো। এবং বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছে তাঁরাই। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠেছে সেখানকার হিন্দুরা।