ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজনৈতিক নেতাদের দলবদলের নানা ঘটনা হামেশাই কান পাতলেই শোনা যায়। আজ যদি কেউ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয় আগামী দিনে সেই আবার বিজেপিতে যোগ দেয়। ঠিক তেমনই আবার উল্টোটা হয়। সাধারণ মানুষের কাছে এইসব বিষয় আজকাল তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই সাধারণ বিষয়কে ঘিরেই এবার তৈরি হল এক ভয়ংকর ডামাডোল। সোজা ভাষায় বিশ্বাসঘাতকতা করার প্রতিবাদ স্বরূপ এক দৃষ্টান্তমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে বসল রাজ্যের বিরোধী দল।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গত ২০ জুলাই শান্তিপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান শ্যামল ঘোষ। আর ঠিক তারপরের দিন অর্থাৎ ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ স্মরণ সমাবেশে যোগদানও করেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। যা শান্তিপুর বিধানসভার বিজেপি কর্মীদের কাছে বেশ অপমানজনক। তাঁদের দাবি, ‘দলের সাথে সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন শ্যামল ঘোষ। যেখানে কিনা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জনসাধারণ তাঁকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করে পঞ্চায়েত প্রধান করেছিলেন সেখানে এখন কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন তিনি।’ তাই এই অপমানে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপি কর্মীরা।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার শান্তিপুরের ফুলিয়ার বয়রার গঙ্গার ঘাটে পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল ঘোষের আত্মার শ্রাদ্ধ করেন বিজেপি কর্মীরা। রীতিমত শ্যামল ঘোষের ছবিতে মালা দিয়ে ন্যাড়া হয়ে সাদা ধুতি গেঞ্জি পরে সমস্ত ক্রিয়াকর্ম পালন করেন। এবং শ্রাদ্ধের মন্ত্র পড়ে শ্যামলবাবুর আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। পিণ্ডদানও করা হয়। শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের শেষে নদীতে সবকিছু ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর জলে ডুব দিয়ে ডাঙায় ওঠেন ওই বিজেপি কর্মী।
কী বলছেন শ্যামল ঘোষ?
এই গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে গয়েশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল ঘোষ এর সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, ‘বিজেপি পাগলের প্রলাপ করছে। সংবাদ শিরোনামে উঠে আসার জন্য এই ধরনের কর্ম করছে বিজেপি। না হলে একজন জীবিত মানুষের কীভাবে শ্রাদ্ধ শান্তি করে? এর ঘোর নিন্দা করছি। আগামী দিনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এ বিষয়টি জানাব।’