প্রীতি পোদ্দার, মহিষাদল: চলতি বছর ছয় কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে খানিক চিন্তিত ছিল শাসকদল। তার অন্যতম কারণ হল আরজি কর কাণ্ড। গত কয়েক মাস ধরে আরজি কর আবহে রাজ্যে কিছুটা হলেও চাপে আছে শাসকদল। অন্তত বিরোধীরা তেমনটাই দাবি করছে। আর সেই পরিস্থিতিতে গত ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে এই আসনগুলির মধ্যে ৫ টিতে আগে তৃণমূলই জয়ী হয়েছিল। একটি আসন ছিল বিজেপির ঝুলিতে। কিন্তু এবার ৬ এ ৬ পেল তৃণমূল। তবে আসন জয়ের মাঝেও হারের মুখে পড়তে হল তৃণমূলকে।
শুভেন্দু অধিকারীর দুর্গে ফের জয় বিজেপির
আসলে গতকাল অর্থাৎ রবিবার ছিল মহিষাদলের ঝাউপাথরা সমবায় সমিতির নির্বাচন। সেখানে মোট ৫২টি আসনে ভোট হয়। সেই ৫২টির মধ্যে ৩৬ টিতে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থীরা। তৃণমূল জয়ী ১৬ টি আসনে। টাই হয়েছিল ১ আসন। পরে সেই আসনেও জয় পায় বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর দুর্গে ফের একবার সমবায় নির্বাচনে সমবায় হাতছাড়া হল রাজ্যের শাসকদলের। জয়ের আনন্দে মেতেছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
জয়ের প্রসঙ্গে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সহ সভাপতি বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”উপনির্বিচন নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। কারণ উপনির্বাচনে কীভাবে ভাল ফল হয়েছে সকলের জানা। আর নন্দীগ্রাম থেকে সমবায়ে বিজেপি জয়ের ধারা শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রয়েছে। এই সমবায়ে তৃণমূল পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি করেছে বলেই মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছে।”
সমবায় নির্বাচন নিয়ে কী বলছে তৃণমূল?
কিন্তু সমবায় নির্বাচনে ভালো ফল না করতে পেরেও খুব একটা কষ্ট পায়নি শাসকদল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধিয়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “এই সমবায়ে দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। তাছাড়া সমবায় নির্বাচনে সদস্যরা ভোট দেন। সদস্যদের যে রাজনৈতিক দলের সদস্য তার পক্ষেই ভোট দেন। সমবায় নির্বাচনের ফল নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।”