প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর পেরোলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্যের সাধারণ মানুষের ভোট আদায়ের লড়াইয়ে। কিছুদিন আগেই ২০২৬ সালের ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Budget 2025) পেশ করেছিল রাজ্য সরকার। সেখানে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়নের জন্যই। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৪৪ হাজার ১৩৯ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা টাকা। যার ফলে বাজেট পেশের পরে রাজনৈতিক মহলে নানা তর্ক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়নের অনুমোদনের পুরোটাই বিধানসভায় মঞ্জুর করল রাজ্যের অর্থ দফতর।
অনুমোদন মঞ্জুর করল রাজ্যের অর্থ দফতর
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার চলতি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে গ্রামের উন্নয়নের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বরাদ্দ করেছিল ৪৪ হাজার ১৩৯ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা টাকা। এবার সেই অনুমোদনের পুরোটাই বিধানসভায় মঞ্জুর করল রাজ্যের অর্থ দফতর। যার মধ্যে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগে বড় প্রকল্পের জন্য মঞ্জুর করা হয়েছে ২৮২২.০৭৮০ কোটি টাকা। বাজেটের নেপথ্যে আসলে মূল টার্গেট ছিল গ্রামের মানুষের সমর্থন। কিন্তু বাজেটে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেও বিরোধী দলের কটাক্ষ থেকে বঞ্চিত হয়নি রাজ্য সরকার। তবে সেই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দেয় শাসকদল। তুলে ধরা হয় কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে।
বিধানসভায় উপস্থিত সদস্য
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গ্রামের উন্নয়ন বাজেট নিয়ে সরকারের হয়ে আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন শাসকদলের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, শেখ শাহনওয়াজ, শ্যামল মণ্ডল, সুকান্ত পাল, সমীর জানা, বীণা পাল, শওকত মোল্লারা। অন্যদিকে বিরোধী বিধায়কদের মধ্যে ছিলেন আইএসএফ বা ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এদিন তিনি রাজ্য সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘গ্রামীণ অর্থনীতিতে আমরা সকল রাজ্যের তুলনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছি। দেশের মধ্যে আমরা ১৩ নম্বরে। এমনকি আমাদের গ্রামে জনপ্রতি খরচ মাত্র ১২ টাকা।’’
নওশাদ সিদ্দিকি- র কটাক্ষ
এদিন অধিবেশনে শাসকদল এবং ISF উপস্থিত থাকলেও দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না বিজেপি বিধায়কদের। আর এবার তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়েও শাসকদলকে কথা শোনাল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক সকলের প্রতি ‘বিমাতৃসুলভ’ আচরণ করছে। তাই কোনো আলোচনায় বিরোধী দলকে ডাকা হচ্ছে না। তবে তাঁর মন্তব্যে চুপ করে থাকেনি শাসকদল। রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার সেই সময় জানান রাজ্যের প্রকল্প সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম থেকেই অসহায়তা দেখিয়ে গেছে। এছাড়াও এদিন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা। মাসের পর মাস উন্নয়নমূলক কাজের টাকা আটকে রাখার কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুনঃ হতে পারে ভয়ানক যুদ্ধ! পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক নিয়ে রেগে লাল চিন
পাল্টা জবাব শাসকদলের
প্রদীপ মজুমদার দাবি করেন, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ‘স্বপ্নভঙ্গ’ হওয়ার ফলে প্রতিশোধের আগুন মেটাতে পরবর্তী কালে গ্রামোন্নয়ন এবং অন্যান্য দফতরকে কেন্দ্র সহায়তা বন্ধ করেছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হন আরেক তৃণমূল নেতা পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরও। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকা সত্ত্বেও যে ভাবে রাজ্য সরকার অর্থ জোগাড় করে কাজ করছে, তা বেশ উল্লেখযোগ্য। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, আবাস যোজনায় মুখ্যমন্ত্রী দু’বার দেখা করেছেন কেন্দ্রের সঙ্গে এবং টাকা পাঠানোর আবেদন করেছেন। তার পরেও কাজ হয়নি। শেষে কেন্দ্রের ওপর ভরসা না করে নিজের টাকায় ১২ লক্ষ আবাস করে দিয়েছে সরকার।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |