ফের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি বাংলায়! পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ঝটকা দিয়ে বড় রায় হাইকোর্টের

Published on:

mamata-hc

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিকে ঘিরে শুধু বাংলাই নয়, গোটা ভারতজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এহেন ঘটনার সঙ্গে বহু মানুষের যোগ থাকায় অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে জেলে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ সহ অনেকেরই স্থান এখন জেলে। বিগত ২ বছর হতে চলেছে এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে এবং তদন্ত করছে সিবিআই।

WhatsApp Community Join Now

যদিও এখন পাহাড় মানে দার্জিলিংয়েও পরীক্ষা ছাড়া জিটিএ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগে কারচুপি ধরা পড়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে CBI। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এই তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিনয় তামাং-এর দেওয়া তালিকা থেকে চাকরি চুরির অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চে। যদিও শুনানি শেষে রায় ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এরপর শুক্রবার সকালে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট

SSC-র পর জিটিএ-তে যে শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে সে ব্যাপারে তদন্তের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই মর্মে আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে দিতে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই উচ্চতর বেঞ্চে যায় রাজ্য। তবে সেখানে মুখ পুড়ল সরকারের।

আরও পড়ুনঃ এবার বাদ, আর সুযোগ পাবেন না KKR-র ২৫ কোটির বোলার, স্টার্কের পরিবর্তে দলে দুই বিদেশী

শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ সাফ সাফ জানিয়ে দিল, আপাতত সিবিআইকেই জিটিএ নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে হবে। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে দুটি বেনামি চিঠি। এই দুটি চিঠি থেকে মূলত তদন্ত শুরু করতে হবে সিবিআইকে। হাইকোর্ট এই দুই বেনামি চিঠির প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X