অবশেষে বড় ঝটকা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালে যে সমস্ত গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি থেকে শুরু করে নবম-দ্বাদশে নিয়োগ পেয়েছিলেন সেরকম সবাইয়ের চাকুরি বাতিল করে দিল হাইকোর্ট। বিষয়টি সম্পর্কে মুখ খোলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদি। ডিভিশন বেঞ্চে রায় দেওয়ার সময় দুই বিচারপতিই বলে দেন যে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে যাদের চাকরি হয়েছে সেগুলো বৈধ হতে পারে না।
এদিকে কেবল যে চাকরি গিয়েছে তাই নয়, সেই সাথে যাদের চাকরি গিয়েছে তাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে। শুধু তাই না, হাইকোর্ট এও নির্দেশ দিয়েছে যে, বেতনের ওপর মোট ১২% সুদ দিতে হবে চাকরিহারাদের। সবমিলিয়ে ৪ সপ্তাহ সময় পাবেন তারা। পুরো টাকা জমা দিতে হবে নিজের নিজের জেলাশাসকের কাছে। এরপর জেলাশাসক ওই টাকা জমা করে দেবেন হাইকোর্টে।
একজনের চাকরি থাকবে জানিয়েছে হাইকোর্ট
পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে গেলেও একজনকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। মহামান্য আদালতের তরফেই সেই রায় এসেছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসাক জানিয়ে দেন যে, সোমা দাস নামের একজনের ক্যান্সার রোগ রয়েছে। তাই তাকে মানবিকতার খাতিরে চাকুরিতে বহাল রাখা হচ্ছে। বাকি পুরো প্যানেলকে বাতিল করছে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুনঃ ১ বা ২ নয়, টানা তিন মাস গরমের ছুটি! বড় ঘোষণা করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
প্যানেল খারিজ করে দেওয়ার সাথে সাথেই আবারও নতুন করে নিয়োগ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে SSC কে। মোট ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর OMR শিটের পুনর্মূল্যায়নের করে তারপর নতুন প্যানেল তৈরি করতে হবে। টেন্ডার ডেকে এই প্রক্রিয়ার নতুন নিয়োগ করা হবে। সাথে হাই কোর্ট এও জানিয়ে দিয়েছে যে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তও জারি রাখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI।