রাজভবনের অনুমোদনের অপেক্ষায়, মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট নিয়ে বড় তথ্য দিল CBI

Published:

Manik Bhattacharya
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই এইমুহুর্তে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে SIR প্রক্রিয়া। একদিকে যখন ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে শাসকদল ঠিক সেই সময় রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসছে। যার মধ্যে অন্যতম হল প্রাথমিক মামলায় দুর্নীতি। শাসকদলের একাধিক মানুষ এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে উঠে আসছে তথ্য। এদিকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে CBI চার্জশিট জমা দিলেও এখনও রাজভবনের তরফে কোনও অনুমোদন মেলেনি।

রাজভবনের তরফে দেওয়া হয়নি অনুমোদন

গত অক্টোবর মাসে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সেই চার্জশিটে এখনো রাজভবনের অনুমোদন মেলেনি। এদিকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, চার্জশিট জমা দেওয়ার পর সেই সংক্রান্ত অনুমোদনের জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়ে থাকে। যেহেতু মানিক বা রত্নার ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা এখনও অতিক্রান্ত হয়নি তাই আপাতত সিবিআই-এর অপেক্ষা করা ছাড়া আর গতি নেই। তাই সেই ব্যাপারে আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিচার ভবনে এই তথ্য আদালতকে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।

কেন দরকার রাজভবনের অনুমোদন?

আসলে কোনও সরকারি পদাধিকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার আগে রাজভবনের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কারণ, সরকারি পদে থাকাকালীন কেউ যদি কোনও অপরাধের অভিযোগের ক্ষেত্রে জড়িত থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে সাংবিধানিক অনুমোদন লাগে। তবে চার্জশিটে নাম রয়েছে বীরভূমের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারীর। তবে তাঁর ক্ষেত্রে পৃথক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। কারণ সে সরকারি কোনও পদে নেই। প্রাথমিক মামলায় যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিভাসের নাম উঠে এসেছিল। এক সময় বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতিও ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: অঙ্কে স্নাতক হয়েও ‘দাগি’র তালিকায় ভাইয়ের নাম! SSC-র বিরুদ্ধে মামলা শালবনির বিধায়কের

উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে নয়ডা থেকে বিভাস অধিকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, তিনি ভুয়ো অফিস খুলে সাধারণ মানুষের জন্য প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন। খুলেছিলেন ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন’ অফিস। তবে এই ঘটনায় একা শুধু বিভাস নয় সঙ্গে তাঁর পুত্র অর্ঘ্য-সহ নয়ডা থেকে মোট ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, তিনটি পৃথক ব্যাঙ্কের চেকবই, ১৬টি রাবার স্ট্যাম্প, একটি স্ট্যাম্প প্যাড, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ন’টি আইডি কার্ড, তিনটি ভিজ়িটিং কার্ড, শংসাপত্র, লেটারহেড, একাধিক এটিএম কার্ড এবং ৪২,৩০০ টাকা নগদ অর্থ উদ্ধার হয়।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join