প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এর বিরুদ্ধে শর্ত রেখে কিছুদিন আগে আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁরই জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য এবং আরও এক আত্মীয়। এমনকী নিয়োগ মামলায় রাজসাক্ষীও হয়েছেন পার্থর জামাই। তাতেই নাকি উঠে এসেছিল একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। যার ফলে বেশ চাপে ছিলেন পার্থ। বোঝাই গিয়েছিল ED র মামলার মত সহজে CBI এর মামলায় জামিন পাওয়া যাবে না। আর এই আবহেই এবার প্রাক্তন মন্ত্রীর ওএসডিও আদালতে গোপন জবানবন্দিতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নাম উঠে এল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। যার জেরে নিয়োগ মামলায় পার্থর বিড়ম্বনা আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
OMR শিট নষ্ট করেছিল পার্থ!
সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI-এর তরফে দুটি নতুন বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনা হয়েছে। যার মধ্যে একটি তথ্য হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই নাকি OMR শিট নষ্ট করা হয়েছিল। এবং দ্বিতীয় তথ্যটি হল, বিকাশ ভবনের ওয়ার হাউজ থেকে ৩২১ জন প্রার্থীর যে তালিকা তাঁরা পেয়েছিলেন, তাতে বহু রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছিল, যাঁরা রেকমেন্ড করেছিলেন পার্থকে, যাতে তাঁদের প্রার্থীদের চাকরি হয়ে যায়। কিন্তু সেই রেকমেন্ডেশন অর্থের বিনিময়ে হয়েছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ওএসডি প্রকাশ করল বিস্ফোরক তথ্য
যদিও এর আগে আদালতে পেশ করা চার্জশিটে একথা দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, ইডি। তবে এবার আদালতে দেওয়া গোপন জবানবন্দিতে একই কথা জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর তৎকালীন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি তথা ওএসডি। এদিকে আদালতের বিচরকের কাছে সিবিআই-এর আইনজীবী এদিন পার্থর জামিনের বিরোধিতা করেন। এবং তিনি বলেন, “এখনও গোটা বিষয়ের তদন্ত চলছে। কারণ ওয়ার হাউজ থেকে যে তথ্য মিলেছিল এবং সেই তথ্য যে সমস্ত রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের নাম তাঁরা পেয়েছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা এখনও বাকি। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি জামিন দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যহত হবে বলেও জানান আইনজীবী।
আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট নিয়ে আরও কড়া হল রাজ্য সরকার
আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI এর আইনজীবীর এই মন্তব্যে এদিন আদালতে বাম সাংসদ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এখন রাজসাক্ষী যে সমস্ত তথ্য দিয়েছেন, সেই তথ্য বার করার জন্য সিবিআই-এর যে তৎপরতার প্রয়োজন রয়েছে, সেটা দেখাতে সিবিআই প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়। তবে এখন যখন বলছেন, তাহলে সমস্ত তথ্য সামনে আনুক।” এদিকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি-র মামলাও এখন বিচার পর্যায়ে রয়েছে। ইডি-র কাছে ইতিমধ্যেই গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। ইডি ও সিবিআই- দুজনেই একই মামলায় তদন্ত করছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |