প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরতেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। তার উপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে বিপুল চিন্তায় পড়েছে রাজ্য সরকার। তাই কোনটা ছেড়ে কোন কাজে বেশি মনোযোগ দেবে তাই নিয়ে বেশ দ্বিধাগ্রস্ত। আর এই আবহে প্রায় ১৪ বছর পর নির্বাচন হতে চলেছে CESC-এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত সমবায় ব্যাঙ্কে। আগামী ১৭ই এপ্রিল নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করেছে কমিশন। সকলেই বেশ খুশি। কিন্তু এই নির্বাচনের আবহেও যেন টানাপোড়েন থামছেই না। তাই স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল CESC সংস্থারই এক কর্মী।
নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করেছে কমিশন
২০১১ সালে তৃণমূল সরকার লাল জমানার পতিন ঘটিয়ে আধিপত্য বিস্তারের পর থেকেই CESC-এর সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। পরে শাসকদল তৃণমূল ২০১৩ সালে পুরনো বোর্ড ভেঙে নমিনেশনের মাধ্যমে ডিরেক্টর নির্বাচিত করে। আর তখন থেকেই সেই বোর্ড এখনও চলছে। কিন্তু এবার পরিবর্তনের সময় এসেছে। অবশেষে আগামী ১৭ তারিখ রয়েছে সমবায় নির্বাচন। কিন্তু সেখানেই গণ্ডগোলের রহস্য বাঁধছে। কারণ আদালতে মামলাকারীর দাবি, সামনেই নির্বাচন ঘনিয়ে আসা সত্ত্বেও এখনও কোনও ড্রাফট ভোটার লিস্ট তৈরি করা হয়নি অর্থাৎ যারা ভোটার তাঁদের ফ্রেশ লিস্ট এখনও তৈরি হয়নি।
মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়েও মামলা
এমনকি সংস্থার সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে শাসকদলের প্রভাব খাটানোর অভিযোগও উঠে এসেছে। ওই মামলাকারির দাবি গত ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা। কিন্তু সেই সময় তৃণমূল ঘনিষ্ট ছাড়া কেউই মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। এমনকি শাসকদলের বাইরে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তাদের নাকি মারধর করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। তাই এককথায় বলা যাচ্ছে নির্বাচনের আগে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়েও ‘প্রভাব’ খাটানো হচ্ছে শাসকদলের তরফে। আর এই অভিযোগের মধ্যেই ফের শাসকদলের এক মন্ত্রীর দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে।
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিকে ৩৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় বিরাট মোড়! আচমকাই সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি
মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!
জানা গিয়েছে, এদিন আদালতে মামলাকারি CESC সংস্থার কর্মচারী দাবি করেছে যে বর্তমানে রাজ্যের যে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, তিনি নাকি CESC এর দেওয়া টাকা উন্নতির কাজে ব্যবহার না করে ট্রান্সফার করে দিয়েছিল নিজের দলে। আর সেই টাকার পরিমাণ ছিল ১৮.৫ কোটি টাকা। কিন্তু এই প্রসঙ্গ উঠতেই রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ‘এগুলো সব মিথ্যা কথা। নিবার্চনের আগে মিথ্যে অভিযোগে কলঙ্কিত করতে চাইছে দলকে। যে ইউনিয়ন একক শক্তিতে ৯৮ শতাংশ ভোট পায়, তাদের ভোট আদায়ের জন্য কোনো মারপিটের প্রয়োজন পড়ে না।’
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |