আগেও দিয়েছেন মৃত্যুদণ্ড, ছিলেন হাইকোর্টেও! চিনে নিন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাসকে

Published on:

sealdah court justice anirban das (1)

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নয় নয় করে ১৬২ দিন! গত ৯ আগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে যেই মহিলা নির্যাতিতার ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় গোটা দেশ যেখানে বিচারের দাবিতে উন্মাদ হয়ে হিংস্র হয়ে উঠেছিল, আজ সেই মামলার রায়ের অপেক্ষায় মুখিয়ে ছিল গোটা মানব জাতি। ধারণা হয়েছিল সকলের আজ যে আজই জানা যাবে এই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কোন কোন মাথা যুক্ত রয়েছে। তবে আজ সেই মামলার সঞ্জয় দোষী হিসেবে ঘোষিত হলেও রায় দান করা হবে আগামী সোমবার। আর যাঁর হাতে আরজি কর মামলার এক রায় লেখা হতে চলেছে আগামী সোমবার, তিনি হলেন শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক অনির্বাণ দাস। আর স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে এই বিচারকের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে।

কে এই বিচারক অনির্বাণ দাস? Justice Anirban Das

WhatsApp Community Join Now

জানা গিয়েছে বিচারক অনির্বাণ দাস (Justice Anirban Das) ১৯৯৫ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে LLB পাশ করেছিলেন। কর্মজীবনের শুরুটা হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। এরপর কৃষ্ণনগরে সিভিল জজ হিসেবে ছিলেন বিচারক দাস। তারপর বিধাননগরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা জজের মতো দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে বিচারক দাস শিয়ালদা আদালতে এসেছেন। আপাতত তিনি শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক হিসেবে কর্মরত আছেন। সেই পদে থেকেই আজ তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার রায় দিয়েছেন।

এর আগেও দিয়েছিলেন মৃত্যুদন্ড

এর আগে বিচারক অনির্বাণ দাস NDPS অর্থাৎ যেখানে মাদক সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় সেই আদালতের বিচারক ছিলেন তখন তিনি এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিলেন। তিনি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ‘সহকারী আইনি উপদেষ্টা’ হিসাবেও কাজ করেছেন। পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার হিসাবেও কর্মরত ছিলেন বিচারক দাস। তবে কর্মজীবনের বাইরে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সম্পূর্ণ আলাদা। বিচারক দাসের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতে তাঁর পরিচিতি বরাবর ‘বিচক্ষণ’ মানুষ হিসাবে। কিন্তু আজ তিনি সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সেই রায় ঘোষণার সাজা সোমবার দিন করবেন বলে জানিয়ে দিলেন।

আরও পড়ুনঃ ‘আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা’, দোষী সাব্যস্ত হতেই শিয়ালদা কোর্টে কী বলতে চাইল সঞ্জয়?

গত ১১ নভেম্বর থেকে আরজি কর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল শিয়ালদা আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে। তখনই বিচারক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, আরজি কর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ইন ক্যামেরা’ হবে। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার প্রায় দু’মাস পর আজ অর্থাৎ শনিবার সেই মামলার রায়ে সঞ্জয় রায়কে দোষী বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। তবে সঞ্জয় ফের নিজেকে নির্দোষ বলে পাল্টা মন্তব্য করতে শুরু করলেন।

আরও পড়ুনঃ প্রেম-কূটকচালি অতীত! শিশুকেন্দ্রিক মেগা আনছে জি বাংলা, প্রকাশ্যে নায়িকার নাম সহ স্টোরি

সোমবারই ঘোষণা হবে চূড়ান্ত রায়

বিচারক অনির্বাণ দাসের সামনেই ধৃত সঞ্জয় রায় দাবি করেন, “আমি কিছু করিনি। আমাকে IPS-রা যা বলেছেন, তাই বলেছি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে। আমি ধর্ষণ করলে সেটা ছিঁড়ল না কেন?” আর তখনই বিচারক জানিয়ে দেন যে সঞ্জয়ের বক্তব্য আগামী সোমবার শোনা হবে। অর্থাৎ সোমবার ই হবে রায় ঘোষণার দিনটি।

সঙ্গে থাকুন ➥
X