প্রীতি পোদ্দার, রায়পুর: ফের সকাল সকাল ED র হানা রাজ্যে। মদ কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অভিযোগে এবার মন্ত্রীর ছেলের বাড়ি তল্লাশি চালালো পুলিশ। সকাল থেকেই গোটা বাড়ি দখল করে তদন্ত তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এই ঘটনা বাংলায় নয়, ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (Chattisgarh ED Raids) বাড়িতে ঘটেছে এই ঘটনা।
ঘটনাটি কী?
সম্প্রতি বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের। সেখানকার অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। আর এই আবহেই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির নজরে আসল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে চৈতন্য বাঘেল। অভিযোগ মদ কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত চৈতন্য বাঘেল। তাই আজ সকালে কংগ্রেস নেতা চৈতন্য বাঘেলের ভিলাইয়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সকাল থেকেই জোর কদমে চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে ইডি কর্মকর্তারা বাঘেল পরিবারের বাড়ি ছাড়াও আরও ১৩ টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
ক্ষুব্ধ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
ED দাবি করছে যে এই আর্থিক কেলেঙ্কারি কাণ্ডে রাজ্যের কোষাগারে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই আবগারি সিন্ডিকেট পরিচালিত হয়েছিল, যা বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ কমিশন তৈরি করেছিল। এবং ED সূত্রে এও জানা গিয়েছে যে, সিন্ডিকেট স্থানীয় ও বিদেশি মদ বিক্রির মাধ্যমে অবৈধভাবে ২,১৬১ কোটি টাকা উঠেছে। আর এদিকে ED র এই তল্লাশি অভিযানে বেজায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তাই তাঁর অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করেছেন যে, “সাত বছর ধরে চলা একটি “মিথ্যা মামলা” আদালত বাতিল করার পরেও কেন আবার হানা ED র? যদি কেউ পাঞ্জাবে কংগ্রেসকে থামানোর জন্য এই ষড়যন্ত্র করে, তাহলে তা একটি ভুল ধারণা।”
আরও পড়ুনঃ ভারত থেকে পালিয়েও রক্ষে নেই, ললিত মোদীর পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে চলতি বছরের শুরুতে দুহাজার কোটি টাকার মদ কেলঙ্কারিতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে প্রাক্তন মন্ত্রী কাওয়াসি লখমার। অভিযোগ ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন মন্ত্রী হিসাবে বেআইনি সুযোগ নেন তিনি। কেন্দ্রীয় সংস্থার মতে, ছত্তিশগড় স্টেট মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেড দ্বারা সংগ্রহ করা মদের প্রতিটি “কেস”-র জন্য ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছ থেকে ঘুষ সংগ্রহ করা হয়েছিল। আর তার পিছনে ছিল প্রাক্তন মন্ত্রী কাওয়াসি লখমার হাত।