প্রীতি পোদ্দার, পাটনা: চলতি বছরের নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তাই শেষ মুহূর্তে চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি। কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতির মাঝেই কপাল পুড়ল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। সূত্রের খবর, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সুনীল সিংয়ের আইন পরিষদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। আর এর ফলেই সুনীল সিং সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দ্বারস্থ হন। আর তাতেই সম্পূর্ণ খেলা ঘুরে যায়।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ‘পাল্টুরাম’ বলে কাউন্সিলের সভায় মন্তব্য করেছিলেন সুনীল সিং। তাঁর দাবি, তিনি ছাড়াও অন্যান্য সহকর্মীরাও একই মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু অন্যদের দু’দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হলেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে এইরূপ বিকৃতিমূলক মন্তব্য করায় গত বছরের ২৬শে জুলাই, সিংকে বিহার আইন পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। যা কঠোরতম ও ভারসাম্যহীন সিদ্ধান্ত বলে তাঁর দাবি। তাই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে রায় দেয় সুনীল সিং এর পক্ষে। যার দরুন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে আরজেডি এমএলসি সুনীল কুমার সিং।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি সুনীল কুমার সিং এর
জানা গিয়েছে গোটা বিষয়টি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এম কোটেশ্বর সিং। গত মঙ্গলবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দ ব্যবহারের জন্য আরজেডি এমএলসি সুনীল কুমার সিংকে বহিষ্কার করার ক্ষেত্রে যে বিহার আইন পরিষদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করে দেন এই দুই বিচারপতির বেঞ্চ। এছাড়াও আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে সিং-এর আচরণ “ঘৃণ্য” এবং “অশোভন” ছিল, কিন্তু বহিষ্কারের শাস্তি একটু বেশীই ছিল দোষের তুলনায়। এমনকি আদালত মনে করছে যে বহিষ্কার করার এই শাস্তি কেবল সিং-এর অধিকারই খর্ব করেছে তা নয়, বরং তার প্রতিনিধিত্বকারী ভোটারদের অধিকারও লঙ্ঘন করেছে। যার ফলে রীতিমত মাথায় হাত পড়ল নীতিশ কুমারের।
আর পড়ুনঃ তৃণমূলের মেগা বৈঠকে গরহাজির উত্তরবঙ্গের বহু কাউন্সিলর! কারণ কী? চাপে শাসকদল
আদালত এও জানায় যে, সাত মাস সুনীল সিং সদস্যপদ হারিয়েছেন, সেই সময়কাল তিনি সাসপেন্ড ছিলেন বলে ধরতে হবে। তাঁর আচরণের জন্য ওটাই শাস্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। এদিকে গতকাল অর্থাৎ বুধবার দুপুরেই নীতীশ মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপির দিলীপ জয়সওয়াল। এবং ইস্তফার কারণ হিসেবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ জানিয়েছেন, সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশের উদ্দেশ্যেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। আর এই আবহে গতকাল বিকেলেই আরও ৭ জন মন্ত্রীকে নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কিন্তু সেই তালিকায় নীতীশের দল জেডিইউর কোনও মুখ নেই।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |