অস্ত্র পাচারে অভিযুক্ত TMC নেতা, পুলিশের হাত থেকে ছিনতাই করে নিয়ে পালাল জনতা

Published:

Chopra Villagers Snatched Miscreant
Follow

প্রীতি পোদ্দার, চোপড়া: ফের অশান্তি হল চোপড়া। তবে এবার দেখাবে ঘটল আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনা। এর আগে এই চোপড়াতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু লাভ হল না। ফের দেড় মাসের মধ্যে আবার উত্তর দিনাজপুরে পুলিশের হাত থেকে আসামীকে ছিনতাই করে নিল উত্তেজিত জনতা। আর এই আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় চোপড়ার (Chopra Villagers Snatched Miscreant) গ্রামে।

ঘটনাটি কী?

সূত্রের খবর, চোপড়ার চুটিয়াখোর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ছিলেন মুজিবর রহমান। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে মাদক পাচার থেকে শুরু করে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন। পরে পুলিশ মুজিবর এর হদিশ পায়। আর সেই তথ্য সূত্রে আজ অর্থাৎ শনিবার দুপুরে চোপড়ার পুলিশ অস্ত্র আইনের মামলায় মুজিবরকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল। পুলিশ মুজিবরের বাড়ি ঘিরে ফেললেও বাড়ির পিছন দিয়ে বাঁশবন টপকে পুকুরে ঝাঁপ দেয় সে। পরে পুলিশ মুজিবরকে পুকুর থেকে তুলে ভ্যানে তুলতে গেলে গ্রামবাসীদের বাঁধার মুখে পড়ে। পুলিশের গাড়ি আটকে সেই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেল তারা। যার জেরে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে।

গ্রেফতার মহিলা সহ আরও অনেকে

এরপর ইসলামপুর পুলিশ জেলা থেকে বিশাল বাহিনী চোপড়ার থানার আইসি সূরয থাপার নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায়। পরে দুষ্কৃতি মুজিবর রহমান এর খোঁজ করতে যেতেই আক্রান্ত হতে হয় আধিকারিকদের। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে যারা দুষ্কৃতীকে পালাতে সাহায্য করল তারা আদৌ সাধারণ গ্রামবাসী নাকি অভিযুক্তেরই গ্যাং এর সদস্য কিনা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তার খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একাধিক মহিলা-সহ ২৭ জনকে আটক করে পুলিশ।

এই প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা অরিন্দম ভট্টাচার্য “গোয়ালপোখরের ইস্যুতে এর আগে ডিজি বলেছিলেন আমার পুলিশকে কেউ গুলি করলে আরও চারটে গুলি করে মারব। তারপরও পুলিশের কলার ধরে টানছে। আদৌ কি পুলিশের কোনও ভূমিকা আছে? পার্টি অফিসটাই থানা করে দিক।” অন্যদিকে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জবি থমাস বলেন, “একজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে যায়। সেই সময় গ্রামের মহিলারা গ্রেপ্তারিতে বাধা দেয়। পরে ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত বাহিনী গিয়ে গ্রেপ্তারির চেষ্টা করে। কিন্তু আসামিকে ধরা যায়নি।”

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join