প্রীতি পোদ্দার, তুফানগঞ্জ: হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরেই বঙ্গ জুড়ে শুরু হতে চলেছে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে এক আলাদাই উত্তেজনার পারদ তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসন দখলের লড়াইয়ে তাই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে শাসকদল। এমতাবস্থায় একের পর এক দুর্নীতির মুখোমুখি হয়েই চলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার ভোটের জন্য টাকা তোলার উপায় বলে দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন কোচবিহারের (Cooch Behar) তৃণমূল নেতা।
ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা হাতানোর নির্দেশ নেতার!
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ বুধবার, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এর ২ নম্বর ব্লকে আয়োজন করা হয়েছিল বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন তুফানগঞ্জ এর ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি নিরঞ্জন সরকার সহ সকল দলীয় কর্মী। সেখানে আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা রকমের আলোচনা চলছিল। কীভাবে এলাকায় সাধারণ মানুষদের নিজেদের দলের মাধ্যমে প্রভাবিত করবে। আর সেই আলোচনার সময় দলীয় কর্মীদের সামনে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন ব্লকের সভাপতি নিরঞ্জন সরকার। ভোট পরিচালনার জন্য ব্যবসায়ীদের থেকে বিপুল টাকা হাতানোর উপায় বলে দিলেন তিনি। আর সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভাইরাল ভিডিও
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ব্লকের সভাপতি নিরঞ্জন সরকার সকল দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছেন এলাকায় ভোটের টাকা তুলতে হবে কর্মীদের। যেই এলাকায় যত বেশি টাকা উঠবে সেই এলাকায় ভোটের হাওয়া তত বেশি সরগরম হবে। শুধু তাই নয়, তিনি এও বলেন যে দলীয় কর্মীদের নজর রাখতে হবে এলাকায় বিত্তশালী ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করতে হবে, এবং দলের তরফ থেকে টাকা আদায়ের চিঠি যাবে পরবর্তী ভোট পরিচালনার জন্য। সেই এলাকায় যদি পার্টি যেতে তাহলে সেখানকার প্রধান ওই ব্যবসায়ীর টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করবে। এদিকে এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিপাকে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। দলের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক চাপা উত্তেজনা।
আরও পড়ুন: ‘দলের তরফেই খুনের চেষ্টা!’ প্রাণ ভয়ে পঞ্চায়েতে যাচ্ছেন না তৃণমূলের প্রধান
এদিকে কোচবিহারের তৃণমূল নেতার এই অসৎ উপায়ে টাকা তোলার কাণ্ড দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীদল বিজেপি। কোচবিহার জেলা বিজেপির সহ সভাপতি বিরাজ বসু জানিয়েছেন যে, “আমরা সকলেই জানি তৃণমূল কংগ্রেস কাটমানির দল, তোলামূলের দল তাই সেক্ষেত্রে তৃণমূলের এটা সাধারণ স্বভাব, যেটা কিনা কোনোদিনও পরিবর্তন হবে না। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। সুতরাং যতদিন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে থাকবে ততদিন দুর্নীতি এবং তোলাবাজির রাজত্ব চলতেই থাকবে।।”