প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মানিক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ একে একে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়ে চলেছে। আর এই আবহেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। যিনি কিনা এখনও জেলের ঘানি টানছে। বারে বারে জামিনের জন্য আবেদন জানানো হলেও খারিজ হতে যাচ্ছে সেই আবেদন। আর এই আবহেই এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED। এবার হুগলি জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
জামিন পেল শান্তনু!
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ সোমবার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর ঘনিঠ বান্ধবী অর্পিতার জামিনের পর প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জামিন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই জেলবন্দি রয়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক বার জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাচ্ছিল আদালতে। অবশেষে মুক্তির সেই দিন এল।
ED সূত্রে জানা গিয়েছে,শান্তনু তৃণমূলের হুগলি জেলার যুব নেতা এবং হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন। এছাড়াও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বটে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ED। আর সেখান থেকেই বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড ও ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও এজেন্টের মাধ্যমে শান্তনুর কাছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা যেত বলে ED-র মাধ্যমে জানা গিয়েছে।
এখনই জেলমুক্ত হচ্ছেন না শান্তনু!
এর আগে আদালতে পেশ করা ED-র চার্জশিটে বলা হয়েছিল, ২৬ জন প্রার্থীকে চাকরি দিতে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ পেয়েছিলেন শান্তনু। পরে একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই অভিযোগের কারণেই গত বছর মার্চে ED শান্তনুকে গ্রেপ্তার করেছিল। অবশেষে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ED-র মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে এখনই জেল থেকে মুক্তি হচ্ছে না তাঁর। কারণ ED মামলায় জামিন পেলেও ঝুলে রয়েছে CBI এর মামলা।