কলকাতাঃ প্রথমে রাজ্য সভাপতির পদ হাতছাড়া, তারপর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হাতছাড়া। এরপরে কফিনে শেষ পেরেকটা তখন পড়ল যখন বিজেপি নেতৃত্ব মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করা…ঘটনাগুলিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেননি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এরপর যা হওয়ার তাই হল, ২৪-এর লোকসভা ভোটে কীর্তি আজাদের কাছে গো হারা হেরে গেলেন দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে দিলীপ ঘোষের তো মন খারাপই সেইসঙ্গে তাঁর অনুরাগীরাও উদাস।
প্রচারে ঝড় তোলা থেকে শুরু করে একদম আত্মবিশ্বাসী হয়ে দিলীপের বলা ‘আমিই জিতবো’, কোনওকিছুই যেন কাজে লাগল না। দিনের শেষে তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে পরাজিত হলেন দিলীপ। আর হেরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন তিনি। নিজের হারের জন্য কাকে দায়ী করলেন তিনি?
কী বললেন দিলীপ ঘোষ
কেন্দ্র বদল হওয়ার কারণেই কি তিনি হারলেন? এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বললেন, “অসম্ভব কিছু না। সব সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে। বাংলার মানুষ বলবেন এই গুলো ঠিক হয়েছে না ভুল হয়েছে। আমাকে দল যখন যা বলেছে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি। পুরো ইমানদারি দিয়ে করেছি। ফাঁকি রাখিনি। এবার বর্ধমানে হেরে যাওয়া কঠিন সিট ছিল। যারা সেখানে সেদিন ছিলেন তারাও মেনেছেন একটা জায়গায় অন্ততঃ লড়াই হয়েছে। যাঁরা আমাকে ওখানে পাঠিয়েছেন তারা ভাববেন।”
কাঠিবাজির শিকার দিলীপ ঘোষ!
রাজনৈতিক মহলে আরও প্রশ্ন উঠছে, দিলীপ ঘোষ কি কোনওভাবে ‘কাঠিবাজি’র শিকার হয়েছেন? কেনই বা তাকে আন্দামান পাঠানো হল? এই বিষয়ে দিলীপ বলেন, “কালাপানি কাকে বলে আমি জানি। চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ। আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি। তার পরেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সফলতা আসেনি। রাজনীতিতে সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে।”