সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে তৃণমূলে যাচ্ছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ? লোকসভা ভোটে হার থেকে শুরু করে বিজেপির নানা অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষের দেখা না পাওয়ায় নানা রকম জল্পনা কল্পনা তুঙ্গে ছিল। তবে ২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। সেইসঙ্গে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গ বিজেপির নব নিযুক্ত সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। সল্টলেকের কার্যালয়ে প্রাক্তন এবং বর্তমানের সাক্ষাৎ হল আজ।
দিলীপ ঘোষ-শমীক ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎ
২১-এ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান এবং ২০২৬ সালের রাজ্য বিধানসভা ভোটের আগে শমীক ভট্টাচার্য এবং দিলীপ ঘোষের সাক্ষাৎকে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করছে বিশিষ্ট মহল। জানা গিয়েছে, এদিন দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। এদিকে শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ যা মন্তব্য করলেন তা শাসক দল যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়বে তা বলাই বাহুল্য।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন যে সাম্প্রতিক রটেছিল তিনি নাকি তৃণমূলে যাচ্ছেন? জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মাননীয় রাজ্য সভাপতি বলেছেন নাকি দিলীপ ঘোষ সেলেবল নয়। উনার কথা ঠিক। মার্কেটে যার দাম থাকে তাকে নিয়ে জল্পনা হয়। দিলীপ ঘোষের দাম আছে আর থাকবে। কারণ দিলীপ ঘোষের মধ্যে কোনও ভেজাল নেই।’ আজ এক কথায় একদম পুরনো মেজাজে ধরা দিলেন দিলীপ ঘোষ।
২৬-এর আগে বিরাট বার্তা দিলীপ ঘোষের
বিজেপি নতুন রাজ্য সভাপতি সাক্ষাতের পর দিলীপ আরও বলেন, ‘যে কর্মসূচি আমার থাকার কথা, সেখানে আমাকে ডাকা হবে। আমি এ রাজ্যের কোন পদাধিকারী নই। সেইজন্য সবদিনে আমাকে থাকতে হবে, এমন তো নয়। সাংগঠনিক কাজ চলছে নির্বাচনে আগে। আমি আমার যে জেলায় যেখানে আমি পার্টির মেম্বার, আমি যেখানে ভোটার, মেদিনীপুরে, সেখানে আমি বুথে গিয়েছি। বুথের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছি। বুথের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছি। মেদিনীপুরেই চলছে বেশি। আমি যা খবর পেলাম, সাতশোর বেশি বুথ’। আমি বলেছি, আমি নয়, সমস্ত পুরনো কর্মীরা আপনার সঙ্গে আছে। সবার বিশ্বাস আপনার হাত ধরে আমরা নবান্নে পৌঁছব’।
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘বিজেপি নিরন্তর এগোচ্ছে। নির্বাচনে কিছু ভালো, কিছু খারাপ রেজাল্ট হয়েছে। কী হয়েছে, কী ব্যাপার, শমীকদার আমার থেকে পুরনো পার্টিতে। আমার যখন পার্টিতে এন্ট্রি হয়, আমি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক হই, তার আগে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, বিধায়ক ছিলেন। বিধানসভায় আমাকে ওনার জায়গায় দেওয়া হয়। আমিও রাজ্য সভাপতি হই, বিধায়ক হই, সাংসদ হই। আমার থেকে সিনিয়র লিডার। পার্টি তরফে কর্মসূচি হবে, আদেশ হবে। আমরা সবাই আছি’।
আরও পড়ুনঃ হিমাচলের মান্ডিতে হড়পা বানে নিশ্চিহ্ন গোটা গ্রাম! কুকুরের চিৎকারে রক্ষা পেল ৬৭ জন
সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ২৬-এর ভোটের আগে মানভঞ্জন হল দিলীপ ঘোষের? শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ক্ষণিকের জন্য ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এর মানে এই নয় যে তিনি দলের বাইরে চলে গেছেন। ১৫ দিনের মধ্যে সংঘবদ্ধ বিজেপিকে দেখা যাবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |