প্রীতি পোদ্দার, দুর্গাপুর: রাজ্যে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের কাহিনী নতুন নয়। এর আগে শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অনেক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা নাকি অনেক টাকার ঘুষ নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। যা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগে দলের নেতাকর্মীদের জন্য একটি কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘যে কোনো দলের সদস্য যদি অন্যায় কাজ করেন, তাহলে তার দায় দল নেবে না। এমন ব্যক্তিকে শাস্তি পেতেই হবে।’’ কিন্তু এই কঠোর বার্তার পরেও চিড়ে ভেজেনি জলে। ফের এক তৃণমূল নেত্রীর (TMC ) বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ঘুষের অভিযোগ উঠল।
ঘটনাটি কী?
অভিযোগ উঠেছে যে দুর্গাপুরের অন্ডাল ব্লকের মদনপুর গ্রামের বাসিন্দা মধুমিতা মুখোপাধ্যায়কে আইসিডিএসের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে দুর্গাপুরের তৃণমূল নেত্রী সুজাতা বসু সরকার। তিনি নাকি অভিযোগকারী মধুমিতাকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এরপরেও চাকরি না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে যায় মহিলাটি। শেষে টাকা ফেরত চাইলে নেত্রী তাঁর কাছ থেকে শুধু অর্ধেক টাকা ফেরত দেন। বাকি টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। যার ফলে এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল অভিযোগকারী মহিলাটি।
ভাইরাল অডিও ক্লিপ
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের উখড়া অঞ্চল সভাপতি শরণ সায়গলের কাছে সুজাতাদেবীর নামে সম্পূর্ণ লিখিত অভিযোগ করেন মহিলার স্বামী পঞ্চানন মুখোপাধ্যায়। শরণবাবু বলেন, “এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দলের ব্লক সভাপতি ও জেলা সভাপতিকে জানাব।” আর এই ঘটনার আবহেই ভাইরাল হয়ে যায় মধুমিতা ও সুজাতাদেবীর মধ্যে এই টাকা আদান-প্রদান সম্পর্কিত কয়েকটি অডিও ক্লিপ। যা এই অভিযোগকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। এবং রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও দলের পক্ষ থেকে সুজাতাদেবীকে এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি, তবে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।
এদিকে কিছুদিন আগে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর মানস রায় ও তাঁর পুত্র অভ্রনীল রায়কে গ্রেফতার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ। দিনের পর দিন তাঁরা গাড়ি কেনার টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে একাধিক ব্যাঙ্কের চেক জমা দিয়েছিলেন গাড়ি বিক্রেতা মহম্মদ আসিফকে, কিন্তু সবগুলি চেক বাউন্স করে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ কর্মক্ষমতা সম্পন্ন’ রাজ্যের তকমা, বাংলার মুকুটে জুড়ল নয়া পালক
এমনকি দুর্গাপুরের বেনাচিতির এক মোবাইল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় দু’লক্ষ টাকা দামের দু’টি দামি মোবাইল নিয়েছিলেন মানস। কিন্তু যত বার মানস ও তাঁর ছেলের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হত, তাঁরা বিভিন্ন ভাবে ওই ব্যবসায়ীকে হুমকি দিতেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলে গত মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |