প্রীতি পোদ্দার: চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগেই থেকেই শাসকদলের বিভিন্ন দাপুটে নেতাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির কারণে জেল খাটতে হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু পাচার কাণ্ড কোনোটাই বাদ যায়নি। তবে এবার চাল , চিনি বাদ দিয়ে শাসকদলের কপালে জুটল বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ।
বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলুয়াচকে সেখানকার স্থানীয় ব্লক তৃণমূল নেতা সুনীল দেব অধিকারীর দোতলা বাড়ি। এছাড়াও তিনি ওই এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। এমনকি স্ত্রী নীলিমা দেব অধিকারীও পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ শাসকদলের এই প্রভাবশালী নেতাই নাকি দীর্ঘদিন ধরে সকলের নজরের সামনে বাড়ির রাস্তার লাইন থেকে হুক করে বিদ্যুৎ চুরি করতেন। কিন্তু তাঁর দাপট এতই ভয়ংকর ছিল যে তাঁর সামনে কী প্রতিবাদ করতে পারত না।
অভিযোগ অস্বীকার সেই তৃণমূল নেতার!
কিন্তু বেশ কয়েকদিন আগে সেই এলাকায় রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা হানা দেয় সেই এলাকায়। সেখানে গিয়ে এই কাণ্ড দেখে হকচকিয়ে জন তাঁরা। হাতেনাতে ধরা পড়ে যান ওই নেতা। এমন অবস্থায় বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে তমলুক থানায় ওই নেতার নামে FIR দায়ের করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকেরা। তবে গোটা ঘটনার অভিযোগকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন এই নেতা। তিনি বলেন, “আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। এই বিদ্যুৎ চুরির সঙ্গে আমার পরিবারের কেউ যুক্ত নয়।” তবে তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, দপ্তরের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই গোটা ঘটনার তদন্ত করতে চলেছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথা ছড়িয়ে পড়তেই ওই তৃণমূল নেতাকে ঘিরে একের পর এল সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই সুযোগে বিরোধী দলও কথা শোনাতে ছাড়েনি তাঁকে। সেখানকার স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, “সুনীলদেব অধিকারী বিদ্যুৎ চুরি করেন একথা এলাকার সবাই জানে। কিন্তু উনি শাসকদলের বড় নেতা হওয়ায় সাহস করে কেউ বলতে চাননি। আবার প্রমাণিত হল, তৃণমূল মানেই চোর।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |