মেদিনীপুরঃ ২১ দিন কেটে গেলেও এখনও অবধি আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল-কাণ্ডে কোনওরকম সুরাহা হয়নি। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুমে ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যত সময় এগোচ্ছে ততই রীতিমতো উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের রাডারে বেশ কয়েকজন রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তবে এবার সন্দীপ ঘোষের এক ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ উঠল তা শুনে ‘থ’ সকলে।
সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠেছে। আর এই র্যাগিং-এর অংশ হিসেবে মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম সং-এ নাচ করতে বলা হত। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু অভিযোগ এমনটাই। যার বিরুদ্ধে এই র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠেছে সে নাকি আবার নিজের জায়গায় যথেষ্ট পাওয়ারফুল বলে খবর।
আইটেম সং-এ নাচ করতে বলা হত মহিলা ডাক্তারদের!
জানা গিয়েছে, ব়্যাগিংয়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপি ইউনিটের প্রভাবশালী সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ও তার সদস্যদের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম সং এ নাচ করতে বাধ্য করতো মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসপাতালের কিছু সদস্যরা। একদিকে যখন আরজি কর-কাণ্ডে বাংলা তথা সমগ্র দেশ উত্তাল তখন প্রকাশ্যে এল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের এই ভয়াবহ দৃশ্য। এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে এই ঘটনার খবর চাউর হতেই বিক্ষোভ শুরু করেছে পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার থেকে মেডিক্যাল চত্বরে অভিযুক্ত ছাত্র নেতার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ ৪২ ঘণ্টার রাস্তায় সাড়ে তিন বছর লেট করেছিল ভারতের এই ট্রেন! কী হয়েছিল? তা আজও অজানা
অভিযোগ, ওই টিএমসি নেতা নাকি কোন পড়ুয়া পাশ করবে আবার ফেল করবে সেটাও ঠিক করে দিত। আবার আইটেম সং-এ কেউ যদি নাচতে অস্বীকার করত তাহলে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হত। এদিকে গোটা ঘটনা সম্পর্কে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু চিকিৎসা বিভাগের প্রধান তারাপদ ঘোষ।