শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: ফের একবার নতুন করে শিরোনামে উঠে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যখন টিএমসি-সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমিতির সভায় যোগ দিয়েছিলেন, তখন এসএফআই নেতারা তার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিক্ষমন্ত্রীকে। এখানেই শেষ নয়, মাঝরাতে নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ক্যাম্পাসে বলে অভিযোগ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগুন!
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা আগুন লাগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠন ‘শিক্ষাবন্ধু’র অফিসে হঠাৎ করেই আগুন লাগে। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়েছে। দীর্ঘ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা গিয়েছে, ওই ঘরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার ছিল। ঠিক সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনা হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেত পারত বলে দাবি করা হয়েছে।
হামলার মুখে শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার বেলায় যাদবপুরের ওপেন এয়ার থিয়েটারে ওয়েবকুপার বৈঠকে যোগ দেন ব্রাত্য। সেই বৈঠক শুরু হওয়ার আগে তৈরি হয় উত্তেজনা। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ ভোটের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই, আইসা, ডিএসএফ (ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস’ ফ্রন্ট)-এর সদস্যেরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পাল্টা মানববন্ধন তৈরি করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর সদস্যেরা। এরপর আচমকাই এসএফআই সদস্যরা শিক্ষামন্ত্রীকে কোণঠাসা করে এবং তারপর তাকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।
বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা শিক্ষামন্ত্রীকে নাকি মারধর করা হয় এবং তার গাড়ির উইন্ডশিল্ড সহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে তার হাতে আঘাতের চিকিৎসা করা হয়। এক্স-রে করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ব্রাত্য বসু বলেন, “সিপিআইএম এবং বিজেপি জোট গঠন করেছে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি কিন্তু তারা শুনতে চায়নি।”
আক্রান্ত উপাচার্যও
এসব ঘটনাই শেষ নয়, পরে আক্রান্ত হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। অভিযোগ, আহতদের দেখতে কেপিসি হাসপাতালে গিয়েছিলেন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে কয়েক জন হেনস্থা করেন। তাঁর পাঞ্জাবিও টানাটানিতে ছেঁড়া হয়েছে। এই নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘‘আমাকে দেখে হঠাৎ এক দল ছাত্রী তেড়ে আসে এবং আমাকে ধাক্কা মারে। কয়েক জন ছাত্রী আমার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেয়।’’ এদিকে শিক্ষামন্ত্রী এবং অন্য অধ্যাপকদের উপর হামলার প্রতিবাদ করে আজ রবিবার প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিল তৃণমূল প্রভাবিত অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |