পুজোয় বাড়তি রোজগারের আশায় পানের দোকান খুললেন তৃণমূলের দুবারের প্রধান

Published:

Jalpaiguri
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজনৈতিক পদ সামলাতে সামলাতে দোকানদারি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পঞ্চায়েত প্রধানের! পুজোয় বাড়তি রোজগারের আশায় শেষে কিনা পান এবং ঠান্ডা পানীয়র দোকান দিলেন প্রধান। আর এই কাণ্ড দেখে ঠাকুর দেখতে এসে সেই দোকানের সামনেই থমকে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই। আর তাঁদেরকে হাসিমুখে সামলে চলেছেন প্রধান। ব্যাপার কী?

পুজোয় বাড়তি রোজগার প্রধানের

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বছর বাড়িতেই মুদি দোকান চালান জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান অনিতা রাউত। দোকানে বসেই নাকি গোটা গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। দোকানদারির ফাঁকেই মোবাইলে খোঁজখবর রাখেন পঞ্চায়েতের প্রতিটি প্রান্তের। পুজোর সময় বাড়তি সতর্কতা তাঁর। তবে সেক্ষেত্রে তাঁর কাজের রুটিনের কোনো পরিবর্তন হল না। দুর্গাপুজোতেও জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর পঞ্চায়েত প্রধান। বাড়তি আয়ের আশায় জলপাইগুড়ির পাতকাটা কলোনি অগ্রণী সংঘের পুজো মণ্ডপের পানের দোকান দিলেন তিনি। সঙ্গে দেওয়া হল চা ও ঠাণ্ডা পানীয়ও।

প্রধানের কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ বাসিন্দারা

তবে পঞ্চায়েত প্রধানের দোকানদারি করতে করতেই গ্রামের সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছচ্ছে কি না কিংবা সব জায়গায় ঠিকমতো বর্জ্য সংগ্রহ হচ্ছে কিনা সবটাই জেনে নিচ্ছেন। কোথাও কোনো ভুল ত্রুটি হলে তিনি নিজে না গেলেও লোক পাঠিয়ে দিচ্ছেন তৎক্ষণাৎ, এমনকি ফোনে ফোনেও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দোকানে বেচাকেনা করতে করতেই উৎসবের দিনগুলিতে তাঁর এলাকার বাসিন্দারা সবাই সুস্থ আছেন কি না সেটা জেনে নিতেও ভুলছেন না। প্রধানের এই দশভূজা ভূমিকা দেখে মুগ্ধ পাহাড়পুরের বাসিন্দারা।

পঞ্চায়েত প্রধান অনিতা রাউত যে বাকি সকল পঞ্চায়েত প্রধানের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা সেটা তাঁর লাইফস্টাইল থেকেই বোঝা যায়। বাড়িতে তাঁর নির্দিষ্ট কোনো নলকূপ বা কুয়ো নেই। রাস্তার টাইমকলের জলে সংসারের কাজ করা হয়। এক কামরার ছোট্ট এই ঘরের সঙ্গে লাগোয়া মুদি দোকান। সেখান বয়ামে করে রাখা থাকে অল্প কিছু বিস্কুট, লজেন্স। পান খাওয়ার চুন-সুপারি, খাতা-পেন। আবার গ্রামের বাসিন্দাদের কোন অভিযোগ থাকলে এখানে আসে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে। দোকানে বসে তাঁদের সার্টিফিকেট লিখে দেন তিনি। আবার সময় পেলে টুকটাক সেলাইও করেন।

আরও পড়ুন: ‘আমার পরিবারকে মেরে ফেলতে চায়!’ পুজোর মাসে পুরো বেতন কাটায় বিস্ফোরক সুমন বিশ্বাস

কী বলছেন পঞ্চায়েত প্রধান?

জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর পঞ্চায়েত প্রধান অনিতা রাউত বলেন, ‘পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শোনা আমার কাজ। কিন্তু নিজের সংসার চালাতে সারা বছর বাড়িতে মুদি দোকান চালাতে হয় আমাকে। পুজোর কদিন একটু বেশি বেচাকেনার আশায় প্যান্ডেলের পাশে দোকান দিই। এটুকুই আমার রোজগারের সম্বল’। উল্লেখ্য, পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের পরপর দু’বার প্রধান হয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু রাজনীতি নয় পাশাপাশি সংসার সামলানোর অসীম ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। তাইতো সংসার চালাতে পুজোয় দোকান দেওয়ায় তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিরোধীরাও।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join