সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: হুগলির তারকেশ্বরের (Tarakeshwar) চাপাডাঙ্গা বাজারে সোমবার সকাল থেকেই তুঙ্গে উত্তেজনা। অভিযোগ উঠছে, খাসির মাংস কিনতে গিয়ে একদল ক্রেতাকে ছাগলের মাংস ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খবর ছড়াতেই স্থানীয় দোকানকে ঘিরে সাধারণ মানুষের ভিড় জমে যায় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত পুলিশকেই হস্তক্ষেপ করতে নামতে হয়।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, প্রসেনজিৎ সামন্ত নামের এক ক্রেতা আজ সকালে খাসির মাংস কিনতে ওই দোকানে গিয়েছিল। তবে পরে তিনি বুঝতে পারেন যে, আসলে তাঁকে খাসির বদলে ছাগলের মাংস দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি প্রতিবাদ জানায়। এমনকি আশেপাশের মানুষজনও ঘটনাস্থলে জড়ো হতে থাকে। অভিযোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তেই দোকানকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ।
অভিযুক্ত দোকানদার নিজাম শেখের তো খোঁজই মিলছে না। অভিযোগ ওঠা মাত্রই তিনি এবং তাঁর দুই কর্মী দোকান ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে ভিন্ন। নিজামের ভাগ্নে গোলাম রসুল জানিয়েছেন, কখনও কখনও মামাকে না জানিয়েই দোকানের কর্মচারীরা খাসির বদলে ছাগল বিক্রি করত।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ
তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে তারকেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং ভিড় সামাল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দোকানদার এবং কর্মীদের খোঁজে ইতোমধ্যে পুলিশ তদন্তে নেমে পড়েছে। এমনকি অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে রাজনীতিতেও পড়েছে শোরগোল। স্থানীয় বিজেপি নেতারা সরাসরি তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেছেন, তৃণমূল মানেই চোর, তৃণমূল মানেই প্রতারণা। সাধারণ মানুষকেও এরা রেহাই দেয় না। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা পাল্টা জবাবে দাবি করেছেন যে, অভিযোগকারীরা তৃণমূল সদস্য নন। যদি দোকানদারের দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বাতিল হবে গোটা তালিকা! SIR নিয়ে কড়া অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। অনেকে বলছে, খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠে গেল। কেউ কেউ বলছে, এটা আবার নতুন খবর কী রয়েছে! খাসির বদলে ছাগল, ভেড়ার মাংসের কারবার আমাদের এখানে প্রায়ই দেখা যায়। সাধারণ ক্রেতারা এখন এসব নিয়ে আর মাথা ঘামায় না।